এই মুহূর্তে একেবারে টানটান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। সূর্য দীপার মাঝে আবার নতুন ঝড় বয়ে নিয়ে এসেছে মিশকা। আর তার সঙ্গে আসতে চলেছে তাদের সন্তান। সূর্যর স্পা র্ম নিয়ে মা হতে চলেছে তার বেস্ট ফ্রেন্ড মিশকা। আর এটা, এবার গোটা শহর জেনে ফেলেছে এবং তার ফলে সেনগুপ্ত বাড়ির মান সম্মান একেবারে জলে ধুয়ে গেছে।
মিশকার পরিকল্পনা
সে সহ্য করতে পারছে না যে সূর্য এবং দীপা আবার এক হবে এবং সেই সঙ্গে সোনা রুপাকে নিয়ে আবার নতুন করে সংসার শুরু করবে। তাই সে এই পরিকল্পনা করেছে এবং সেটাই সফল হল এবার। সবকিছু জানাজানি হয়ে যাবার পর সে সূর্যকে দুটো শর্ত দিয়েছে যে হয় তাকে বিয়ে করে তাকে এবং তার সন্তানকে গ্রহণ করতে হবে সেনগুপ্ত পরিবারে আর তা না হলে গোটা সেনগুপ্ত পরিবারকে এর ফল ভুগতে হবে। এরপর সে সূর্যকে তার কাছে আসতে বলে।
সূর্য যায় মিশকার বাড়ি
অবশেষে সূর্য রাজি হয়। মিশকার কথায়। তবে সঙ্গে সে বন্দুক নিয়ে যায় এবং সেটা দিয়েই সে ভয় দেখায় মিশকাকে যাতে সে সমস্ত সত্যি কথা বলে দেয়। কিন্তু সে বলে না। আর তখন সূর্য তার সামনে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলে। এই নিয়ে বন্দুক কাড়াকাড়ি চলে দুজনের মধ্যে। আর তাতেই ট্রিগার প্রেস হয়ে যায়। ঠিক তারপরেই দেখা যায় যে মিশকা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে এবং সূর্য হতবাক।
আজকের পর্ব
আজকের পর্বে দেখা যায় যে পুলিশ চলে এসেছে সেনগুপ্ত বাড়িতে। ঠিক সেই সময় যখন গোটা ব্রেকফাস্ট টেবিলে হাজির সেনগুপ্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্য। সূর্য সেনগুপ্তকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যেতে এসেছে পুলিশ। কারণ তাদের কাছে অভিযোগ এসেছে যে সূর্য নাকি মিশকার দেহ লোপাট করে দিয়েছে খু ন করার পর। আর এরপরেই সেনগুপ্ত বাড়িতে শুরু হয় তান্ডব। কেউ চাইছে না সূর্যকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। এমনকি দুটো বাচ্চা মেয়ে সোনা এবং রুপা তারাও বুঝতে পারছে পুলিশ এসে বাবাকে ধরে নিয়ে যাবে থানায়। তাই তারাও এর প্রতিবাদ করছে।
তবে এখনো ডাক্তারবাবুর প্রতি বিশ্বাসে অবিচল রয়েছে তার স্ত্রী দীপা। সে বারবার পুলিশকে এবং সাংবাদিকদের বলেছে যে সূর্য এমন কোনও কাজ করেনি বা করতে পারেনা। এটা নাকি মিশকার চক্রান্ত। যদিও অবশেষে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় এবং সেই পথেই সাধারণ মানুষ সূর্যকে দেখে ক্ষেপে যায় এবং ইট ছুটতে শুরু করে। সেটা গিয়ে লাগে দীপার কপালে। আর ঠিক তখনই দিবা প্রতিজ্ঞা করে যে দেবীপক্ষ শুরুর আগেই নিজের স্বামীকে সে নির্দোষ প্রমাণ করবে।