‘শিমুল বাড়ি থেকে চলে গেলে তোকে আমি শেষ করে দেবো’! কুটনি প্রতীক্ষাই শিমুলকে ফাঁসিয়েছে, জেনে গেল পুতুল 

এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনায় ভরা জি বাংলার কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । টিআরপি তালিকায় কিছুদিন দারুণ প্রভাব দেখালেও গত সপ্তাহে পিছু হটেছে এই ধারাবাহিকটি। বলাই বাহুল্য কিছুটা একঘেয়েমির কারণেই পিছু হটতে হয়েছে এই ধারাবাহিককে। তবে মনে করা হচ্ছে আগামী দিনে আবারও নিজের পুরনো স্থান উদ্ধার করবে এই ধারাবাহিক। কারণ এই মুহুর্তের গল্প আবার‌ও জমে উঠেছে।

একশ্রেণীর দর্শকদের কাছে এই ধারাবাহিক ভীষণ প্রিয়। দর্শকরা এই বাংলা ধারাবাহিকটি দেখতে এই মুহূর্তে ভীষণ রকম পছন্দ করছেন। এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের গল্প ফের জমে উঠেছে। শতদ্রু আর শিমুলকে মাথা নিচু করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র কষেছিল পরাগরা। শতদ্রুর ব্যাগ থেকে গয়নাগুলো উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়।

যথারীতি উদ্দেশ্যে পূরণ হয় পরাগ, পলাশদের। শিমুলের আলমারি থেকে গয়না নিয়ে এসে শতদ্রুর ব্যাগে ভরে দিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা। যদিও জেলে যাওয়ার আগে শতদ্রু পরাগকে বলে সে এই কাজ করেনি আর শিমুলও এটা করেনি। তবে যে করেছে সেই সত্যিটাও খুব তাড়াতাড়ি সামনে আসবেই।

অন্যদিকে বিপাশার বুদ্ধিতে আলমারির ছবিতে হাতের ছাপ পরীক্ষা হওয়ার খবর শুনে প্রিয়াঙ্কা বেশ ভয়ে ভয়ে থাকে। এমনকি সে পরাগ, প্রতীক্ষাদের বলে পুলিশ যদি তাকে ধরে তাহলে সে সব সত্যি কথা বলে দেবে। আর প্রিয়াঙ্কার মুখে এই কথা শুনে বেশ ভয়ই পেয়ে যায় পরাগরা। যদিও প্রিয়াঙ্কাকে আশ্বাস দিতে থাকে তারা।

তবে অন্যদিকে শিমুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার আর নয়। পরাগ, পলাশদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে তাদের মুখের উপর শেষ কথা বলে সে এই বাড়ি ছাড়বে। আর তারপর সে তার প্রাক্তন শতদ্রুর হাত ধরবে। কিন্তু না, আগে সে স্বাবলম্বী হবে। অর্থ উপার্জন করতে পারদর্শী হবে। আর তারপর‌ই শতদ্রুর সঙ্গে বিয়ের কথা ভাববে।

যদিও শিমুলের এই লড়াইয়ে তার পাশে নেই তার শাশুড়ি। কিন্তু রয়েছে তার মানসিক প্রতিবন্ধী ননদ পুতুল। যেকোন‌ও ঘটনায় শিমুলের পাশে প্রত্যেকটা মুহূর্তে থেকেছে এবং এখনও রয়েছে। কারণ সে মানুষের ভালোবাসাকে অন্তর দিয়ে অনুভব করে এবং কাউকে অন্তর দিয়েই ভালোবাসে। শিমুলের জন্য তার চিন্তা, ভাবনা, কষ্ট, দুঃখ দেখে দুঃখ দেখে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে দর্শকদের।

যে কোনও ঘটনায় শুধুমাত্র একজন শিমুলকে ভুল বোঝেনি, আর সে হল পুতুল। সে তাকে মন প্রাণ ঢেলে ভালোবাসে। আর এবার পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা, প্রিয়াঙ্কাদের চক্রান্ত জেনে গেল পুতুল। সে একেবারেই পছন্দ করে না প্রতীক্ষাকে। আর তাই প্রতীক্ষা শিমুল-শতদ্রুকে নিয়ে বাজে কথা বলতেই রেগে গেল শিমুল। সে রীতিমত প্রতীক্ষাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলল ‘শিমুল বাড়ি থেকে চলে গেলে তোকে আমি শেষ করে দেবো’