মনের কথায় ধুমতানানা পর্ব! বিয়ে হয়ে গেল পুতুলের! পলাশের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে পরাগের ওটি শুরু করল ডাক্তার

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) অ্যাক্সিডেন্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি পরাগ। শিমুল সহ সকলেই রয়েছে সেখানে। ওদিকে পলাশ পুতুলের বিয়েটাকে আটকানোর জন্য বিয়ের মণ্ডপে গিয়ে পরাগের কথা বলে দেয় সকলকে এবং বলে বিয়েটা বন্ধ করতে কিন্তু তার কথার প্রতিবাদ করেন মধুবালা দেবী। তিনি জানান এই বিয়েটা হবে এবং তীর্থঙ্করকে বলে পুতুলকে সিঁদুর পরিয়ে দিতে। সবটা শুনে কেঁদে ফেলে পুতুল।

কিন্তু তুতুল গিয়ে তাকে শান্ত করে বলে এখন তো সবটা পরিষ্কার যে শিমুল কেন এইসব করছিল তাই সে যেন আর কান্নাকাটি না করে। তখনই তীর্থঙ্করের বউদি বলে এত কিছু যখন হয়ে গেছে তখন তীর্থ যেন আর এই বিয়েটা না করে কিন্তু তাকে বারণ করে দেয় তীর্থ। তীর্থঙ্কর তখন তাকে বলে এত সব হওয়ার পর কেন সে বিয়ে করবে না, সে বিয়েটা করবে। কিন্তু তাও রঞ্জা বিয়েটা ভাঙতে বলে তীর্থকে। তখন পাড়া প্রতিবেশিরা রঞ্জা জিজ্ঞাসা করে তার কি কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে যে তিনি বিয়ে ভাঙতে চাইছেন।

তখন রঞ্জা বলেন না তার কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই তবে সে চাইনা এমন একটা মেয়েকে তার দেয়র বিয়ে করুক। তার প্রতিবাদে মধুবালা দেবী বলেন তাকে চুপ করতে।তিনি এও মনে করিয়ে দেয় যে তীর্থ নিজেই এসেছিল বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এখন যদি বিয়ে না হয় তবুও তিনি তার মেয়েকে একইভাবে দেখে রাখবেন। তখন তীর্থও জানিয়ে দেয় যে সে বিয়ে করবে পুতুলকে। তখন রঞ্জা তার স্বামীকে বলে চলে যেতে এবং তীর্থও সিঁদুর পরিয়ে দেয় পুতুলকে। ওদের বিয়ে হওয়ার পর তুতুল এবং পলাশ চলে যায় হাসপাতালে।

আরও পড়ুন- উদ্যালক বসুই বাবা জেনে চমকে উঠল খিলখিল! কী অঘটন ঘটবে কোজাগরীর সংসারে?

ওদিকে হাসপাতালে শিমুল চন্দনের কথা বলে বিপাশাকে। বিপাশা তাকে থামতে বললেও তার কথা শুনেনা শিমুল। তখন সুচরিতাও তাকে বলে এখন এসব কথা না বলতে। সেই মুহূর্তেই ডাক্তার আসে জানায় যে তারা অপারেশন করতে যাচ্ছে কিন্তু তাদের বাধা নিয়ে সেখানে চলে আসে পলাশ আর ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে কিসের অপারেশন। বিপাশা তাকে সবটা বললে, পলাশ বলে সে পুলিশের কাছে গিয়ে হাসপাতাল এবং শিমুলের নামে অভিযোগ করবে। তখন শিমুল পলাশকে বলে তার যখন শিমুলকে নিয়ে সমস্যা তখন তার নামে থানায় অভিযোগ করুক কিন্তু অপারেশনটা হওয়া জরুরি।

সেই কথায় সায় দেয় ডাক্তারও। তখন বিপাশা বলে পলাশ পরাগের ভাই হলেও সে পরাগকে বিষ দিয়েছিল সেই কথা শুনে আর কিছু বলতে পারেনা পলাশ আর ডাক্তারও চলে যায় অপরেশন করতে। ওদিকে কেঁদে কেঁদে দিশাহারা হয়ে যান মধুবালা দেবী কিন্তু সকলে তাকে আশ্বাস দেয় যে পরাগ ঠিক হয়ে যাবে। তখন তিনিও বলেন তিনিও চায় পরাগ ঠিক হয়ে যাক এবং আবার শিমুলের সঙ্গে সংসার করুক। তাহলে কি মনে হয় কি হবে পরাগের পরিণীতি? কেমন হবে পুতুলের আগামী জীবন?