জবরদস্ত পর্ব! শিমুলকে অপমান করায় প্রতীক্ষাকে মেরে উচিত শিক্ষা দিল পুতুল! কার কাছে কই মনের কথায় দারুণ চমক

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দর্শকদের। মেয়েদের জীবনের নানা উঠাপড়া নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের মন জয় করলেও এখনও পর্যন্ত দখল করতে পারেনি স্লট। প্রথমে গীতা LLBর বিপরীতে ধারাবাহিকটি বিশেষ ভালো ফল না করায় ধারাবাহিকের স্লট পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয় চ্যানেল। কিন্তু দীপার বিরুদ্ধেও এখনও স্লট দখল করতে পারেনি শিমুল।

তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে বিশেষ চমক। শিমুল নয়, বর্তমানে ধারাবাহিকের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে পুতুল। বর্তমানে পুতুলের জীবনে উঠেছে ঝড়। অসুস্থ হয়ে পড়েছে তীর্থ। স্বামীকে বাঁচাতে দিশাহারা পুতুল। তীর্থকে সুস্থ করতে হলে করতে হবে ওপেন হার্ট সার্জারি। যার জন্য প্রয়োজন অনেকগুলো টাকা। সেইসময় রাস্তা বের করে দেয় শিমুল। সে জানায় পুতুল গানের শো করেই টাকা রোজগার করবে।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ৩০ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 30 May)

শিমুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী তীর্থর এনজিও লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে চলে যায় শিমুল আর পরাগ। সেখানে গিয়ে তারা জানান পুতুলকে স্টেজে উঠে শো করতে দিতে পারবেন না তারা। ফলে কোন উপায় না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েই গান করতে শুরু করে পুতুল। পুতুলের গান শুনে সেখানে শুরু হয়ে যায় লোকের জমায়েত। সকলেই মুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকে পুতুলের গান।

পুতুলের গান শুনে বেরিয়ে আসেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিও। এরপরই অনুষ্ঠানের দায়িত্বরত সকলে চলে আসেন। তারা পুতুলকে অনুরোধ করেন স্টেজে গান গাওয়ার জন্য। সেটে গিয়েই গান গাইতে শুরু করে পুতুল। পুতুলের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যান সকলে। এমনকি স্টেজে উঠে আসে সেই বিশেষ অতিথি শিল্পীও। তিনি পুতুলকে জানান পুতুলের গান শুনে তিনি সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছেন। এই বলেই অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত টাকার অর্ধেকটা তিনি তুলে দেয় পুতুলের হাতে। আর পুতুলের নম্বরও নিয়ে নেন তিনি।

আরও পড়ুন: পাগল সূর্যর সেয়ানা পাগলামি দেখতে দেখতে এবার দর্শক পাগল হয়ে যাবে! সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগের ছোঁয়াকে ঘিরে কটাক্ষ নেটিজেনদের

শিমুলের অপমান করায় প্রতীক্ষাকে মেরে উচিত শিক্ষা দিল পুতুল

অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সমস্ত টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে শিমুল। মধুবালা দেবীকে দেখে পুতুল বলে আজ সে গান গেয়ে সকলের মন জয় করে টাকা উপার্জন করছে নিজের দক্ষতায়। এটা শুনেই প্রতীক্ষা মধুবালা দেবীকে বলে তার মেয়েকে দিয়ে এখন শিমুল রোজগার করাচ্ছে। এটা শুনে রেগে যায় পরাগ। সে বলে প্রতীক্ষা কেন নিজে পুতুলকে সাহায্য করছে না। তখনই প্রতীক্ষা মধুবালা দেবীকে বলে তিনি যেন তীর্থর জন্য বাড়ি বন্দক না দেন। কে বলতে পারে তীর্থ আদৌ বাঁচবে কিনা। কথাটা শুনেই রেগে যায় পুতুল। তেড়ে গিয়ে সে গলা টিপে ধরে প্রতীক্ষার। যদিও শিমুলের কথায় প্রতীক্ষাকে ছেড়ে দেয় সে। তাহলে কি অবশেষে তীর্থকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারবে পুতুল, আপনাদের কি মনে হয়?