স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) যেন দিনে দিনে এক অন্য মাত্রা নিচ্ছে। সাম্প্রতিক পর্বগুলোতে শুধু চমক নয়, বরং গভীর আবেগ থেকে দ্বন্দ্ব এবং মূল্যবোধের যে টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে, তা দর্শকদের মনেও গভীরে দাগ কেটে যাচ্ছে। বিশেষ করে কুর্চির শক্ত অবস্থান এবং তার মুখ ফুটে বেরিয়ে আসা কঠিন অথচ সত্যিটা যেন অনেক দর্শকের মনের কথাই বলে দিচ্ছে। নিজের দাদা না হয়েও নতুনের পাশে দাঁড়িয়ে যে দৃঢ়তা কুর্চি দেখাচ্ছে, তা দেখে অনেকেই বলছেন— রক্তের সম্পর্ক নয়, মনের সম্পর্কই বড়।
যখন পার্বতী একের পর এক অপমানের তীর ছুঁড়ছিল স্বতন্ত্রর দিকে, তখন এমন একজন নিঃস্বার্থ মানুষের অপমানে কুর্চির ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। তার মুখে যে স্পষ্টতা, যে রাগ, তা কিন্তু কোনও নাটকীয়তা নয় বরং সত্য আর অন্যায়ের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন টানার এক সাহসী প্রয়াস। “তুমি দখ’লবাজ, তোমার কোনও আত্মসম্মান নেই!”— কুর্চির এই একেকটা বাক্য যেন পার্বতীর মুখোশ ছিঁড়ে দর্শকদের সামনে আনার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। কুর্চির এই প্রতিবাদে অনেকেই প্রশংসা করেছেন।
তাঁরা বলছেন, “যেটা কমলিনীর করা উচিত ছিল, সেটা আজ কুর্চি করে দেখালো।” এদিকে কমলিনীর নিরবতা আর দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থান নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে— সে কি সত্যিই কিছু বোঝে না, নাকি বোঝেও মুখ বন্ধ করে থাকে? যেখানে কুর্চি অকপটে নতুনের পাশে দাঁড়াতে দ্বিধা করেনি, সেখানে কমলিনীর এই নিষ্ক্রিয়তা অনেকের চোখে এক ধরনের আত্মকেন্দ্রিকতা কিংবা সমাজভয়ের প্রতিচ্ছবি মাত্র। ফলত, দর্শকরা বেশ স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, “ভালোবাসা মানে মুখ বুজে থাকা নয়।
প্রয়োজন হলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে জানতে হয়। যেটা কমলিনী পারে না, তাই নতুনের যোগ্য নয়!” এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আরও একবার সামনে এসেছে স্বতন্ত্রর আত্মসম্মানবোধ ও যন্ত্রণা। সে যতই চুপচাপ থাকুক, যখন প্রয়োজন পড়েছে, কমলিনীর পাশে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলতেও পিছপা হয়নি। পার্বতীর দাবি এবং চাপিয়ে দেওয়া সম্পর্কের আবেগ তাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, আর এই অবস্থায় সে কমলিনীকে পাশে না পেয়ে নিজেই প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছে।
স্বতন্ত্রর এই ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের পাশে আজ কুর্চির শক্ত কণ্ঠই যেন একমাত্র আশ্রয় হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে, ‘চিরসখা’র সাম্প্রতিক পর্বগুলোতে কুর্চির মতো চরিত্ররাই মন কাড়ছে। পরিবারের বন্ধন মানে সবসময় চুপ থাকা নয়, কখনও কখনও সত্যের পক্ষে গর্জে ওঠাও দায়িত্ব পালন করছে সে যথাযথ। আর তাই সে আজ দর্শকদের কাছে সত্যিকারের নায়িকা। অনেকেই সমাজ মাধ্যমে বলছেন, “কমলিনী অপদার্থ মহিলা, এখনও ভালো সাজতে চাইছে।
আরও পড়ুনঃ ফের একসঙ্গে ‘এলা ও গোরার গল্প’ ধারাবাহিকে ফিরছেন গৌরব-শোলাঙ্কি! ‘গাঁটছড়া’র মতোই তিন ভাইয়ের গল্প আসছে স্টার জলসার নতুন মেগাতে! ‘গোরা’র দুই ভাইয়ের চরিত্রে থাকছে বিশেষ চমক! জানেন কারা থাকছেন এই ভূমিকায়?
আর লেখিকা কেন এই পার্বতীটা কে জুটিয়েছে, কি জঘন্য অভিনয়!” “উদ্ভট আর অযৌক্তিক দাবী পার্বতীর। স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও বনিবনা না হলে ডিভোর্স হয়ে যায়। আর উনি এসেছেন বাগদত্তার দাবী নিয়ে। যদি এতই ভালবাসা তো নিজেকে স্বতন্ত্রর যোগ্য করে গড়ে তোলেনি কেন? শিক্ষা সংস্কৃতি সবকিছুতেই অমিল এরকম আজগুবি গল্প কেউ কখনো শুনেছেন কি? আর সত্যিকারের ভালবাসার মধ্যে প্রতিশোধ প্রবণতা থাকে না। সিরিয়াল থেকে মানুষ কিছু শেখে সমাজ কিছু ম্যাসেজ পায়, এই সিরিয়াল থেকে মানুষ কি শিখছে?”