Ismart Jodi EXCLUSIVE: পাঁজরে চোট নিয়ে সেমিফাইনালে পারফর্ম সুদীপ পত্নী পৃথার! সৌরভের রক্তপাত, জয়শ্রীর নাছোড়বান্দা মনোভাব, ফাইনালের আগে Tolly Gossip এর মুখোমুখি ইস্মার্ট জোড়ির তারকারা , পড়ুন বিস্ফোরক সব গল্প

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই স্টার জলসায় আগামী রবিবার রাত আটটা থেকে শুরু হচ্ছে ইস্মার্ট জোড়ির ফাইনাল পর্ব।একদম ইউনিক কনসেপ্টের এই রিয়ালিটি শো তে আমরা দেখেছি আট জোড়া তারকা জুটি কিভাবে বিভিন্ন গেম শোতে অংশগ্রহণ করেছে এবং ফাইনালে পৌঁছেছেন পাঁচজন। অনেক অনেক অজানা জিনিস আমরা টিভির পর্দায় দেখেছি তবে আজকে আমরা পর্দার পেছনের গল্প গুলো আপনাদের কে বলব।

স্টার জলসার পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল ইস্মার্ট জোড়ির ফাইনালিস্টদের নিয়ে একটি প্রেস কনফারেন্স এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন Tolly Gossip এর প্রতিনিধি। গল্প আড্ডায় কোথা দিয়ে যে এক ঘন্টা কেটে গেল সেটাই বোঝা গেল না। অনেক অজানা তথ্য জানা গেল এবং আরো ব্যক্তিগতভাবে চেনা গেল এই সেলিব্রিটিদের।

exclusive interview
যেমন ফাইনালে ওঠার আগে যে সেমিফাইনাল পর্ব হয়েছিল সেখানে সুদীপ মুখার্জির স্ত্রী পৃথা মুখার্জি পাঁজরে চোট নিয়ে খেলেছিলেন। তাদের ছোট ছেলের চিকেন পক্স হয়েছে ‌তাই পৃথা বারবার ছেলের কাছে উঠে যাচ্ছিলেন। আবার সৌরভ সাহা কত যে রক্তপাত ঘটিয়েছেন খেলতে গিয়ে তার ইয়ত্তা নেই।সুদীপ মুখার্জির কাছে এখনো পর্যন্ত সেরা একটি স্মৃতি হলো যখন গ্রামের এপিসোড হচ্ছিল তখন তিনি যে মাটির বাটিটা বানিয়েছিলেন সেটাকে নিজের প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হল বলে তার মনে হচ্ছিল এবং সেটা নিয়ে এসে তিনি ঠাকুর ঘরে রেখেছেন।

exclusive interview
সকলেরই খুব মন খারাপ কারণ আর কয়েকদিন পরেই শেষ হয়ে যাবে তবে বন্ধুত্বটা খুবই বেড়েছে সকলের মধ্যে এবং অফ স্ক্রিনে একে অপরের সঙ্গে দেখা করা আড্ডা মারা বজায় রয়েছে তাদের। ভরত কল যেমন জানালেন যে জয়শ্রীর মধ্যে এত কম্পিটিটিভ মনোভাব তিনি আগে দেখেননি। জয়শ্রী খুব টেনশন করেন তাই মনে হয়, জয়শ্রী মাথায় বরফ চাপিয়ে দিলে ভালো হয়। আবার রাজার কাজ হচ্ছে শুধু বাজার বাঁচানো আর মধুবনী সব উত্তর দেবে সে মধুবনী জানুক চাই না জানুক। মধুবনী না পারলেই তখন রাজা রেগে বলত তোমার জন্য হেরে গেলাম। অনেকের কাজে সেই পার্টনার খুঁজে বার করার এপিসোড গুলো খুব প্রিয় কারণ রাস্তার ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে তাদেরকে ক্লু নিয়ে নিজের সঙ্গীদের খুঁজতে হয়েছিল।

exclusive interview
২৬ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল জার্নিটা, ৩১ শে জুলাই গিয়ে শেষ হচ্ছে। অনেক কিছু শিখেছেন এবং নিজের পার্টনারের অনেক অজানা গুণ সবাই জেনেছেন। পৃথা আর সুস্মিতা যেমন জেনেছেন যে তাদের স্বামীরা নাচতে পারে। সব থেকে মজাদার কথা হল সকলে বাড়িতে আবার প্র্যাকটিস করতেন খেলাগুলো। সাইকেল চালানো গাছে ওঠা পিঁয়াজ ছোলা বাড়িতে রীতিমতো প্র্যাকটিস করেছেন অনেকেই। ফাইনালের জন্য নিজেদেরকে এখন বাড়িতে ঝালিয়ে নিচ্ছেন সবাই। আর একটা কথা আপনাদের জানানো যাক যেটা মধুবনী বলল, জিৎ সুপারস্টার হলেও এত ডাউন টু আর্থ তারকা কেউ দেখেননি। জিৎকে নতুন করে চিনেছেন সকলে।