জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) গল্প যত এগোচ্ছে, ততই দর্শকের আলোচনায় উঠে আসছে ধারাবাহিকের চরিত্রগুলি। গল্পে মূলত দুই বোন নিশা ও উজির সম্পর্কের টানাপোড়েন আর প্রতিশোধের খেলা তো আছেই। কিন্তু এই মুহূর্তে যে বিতর্কটা সামনে এসেছে, সেটা গল্পের বাইরে ধারাবাহিকের নির্মাতাদের একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে। দর্শকরা বহুদিন ধরে সিরিয়ালে উজি-নিশার মৃ’ত মায়ের ছবি দেয়ালে দেখতে পাচ্ছেন, অথচ সেই ছবির অধিকারী অভিনেত্রী সাগরিকা রায় (Sagarika Roy) নাকি জানতেনই না যে তাঁর মুখ ব্যবহার করা হয়েছে!
ঘটনাটা প্রকাশে আসতেই অভিনেত্রী প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এমন অভিযোগ টলিপাড়ায় নতুন নয়। তবে সাগরিকার ক্ষোভের ভাষা এবার পরিষ্কার করে দিয়েছে যে শিল্পীদের সম্মান নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তিনি নিয়মিত কাজ করেন, বিভিন্ন ধারাবাহিকে চরিত্রে অভিনয়ও করেন। তাই হঠাৎ করে মৃ’ত চরিত্রের ছবি হিসেবে তাঁর মুখ ব্যবহার করা, তাও তাঁকে না জানিয়ে– তাঁর কাছে ব্যাপারটা অসম্মানের মতো লেগেছে। বন্ধুত্বের জায়গা হলে বিষয়টা আলাদা হতে পারত, কিন্তু পরিচিত মানুষেরাই না জানিয়ে তাঁর মুখ ব্যবহার করেছেন আর এই দিকটাই তাঁকে সবচেয়ে আহত করেছে।
তাঁর কথায়, “কি ভেবেছিলেন আমি খুব সস্তা, প্রতিবাদ করতে পারব না? এটা যে কি ভেবে করলেন, আমি বুঝতে পারছি না।” ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা যতই বাড়ুক, কোনও শিল্পীর ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করার প্রশ্নটা বেশ জটিল। সাগরিকা জানিয়েছেন, তিনি আজও পরিশ্রম করে কাজ করছেন, নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। তাই তাঁর মুখ ব্যবহার করা হলে তার একটা মূল্য তো থাকতেই পারে, এটাও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আরও তীব্রভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি তো মরে যায়নি যে না জিজ্ঞেস করেই ব্যবহার করা যায় আমার ছবি!
আমি প্রতিনিয়ত কাজ করছি, আমার যথেষ্ট নাম আছে। সেই জায়গা থেকেই আমি দাবি করতে পারি, জানাটা আমার অধিকার।” তাঁর মতে, অন্যদের ক্ষেত্রেও হয়তো এমনটা ঘটে, তাই এর বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে ‘জোয়ার ভাঁটা’র চলতি ট্র্যাকে নিশার জীবনে প্রতিশোধের আগুন, উজির মনে অস্থিরতার মাঝেই বোনের শত্রুপক্ষের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়া গল্পে বড় মোড় এনেছে। কিন্তু এই কাহিনির তুমুল জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় দাঁড়িয়েছে সাগরিকা রায়ের অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ ‘পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালিয়েই যাচ্ছিল, অবসাদ থাকলেই যা খুশি করা যায় না!’ ‘মান’সিকভাবে অ’সুস্থ হলেও সীমা মানতে হয়, লেবুটা এমন কচলাবেন না যাতে তেতো হয়ে যায়!’– ঋজুকে নিয়ে মানসীর স্মৃতিচারণে সামনে এলো নতুন বিতর্ক, বিভিন্ন ম্যাসেজ করে উত্তপ্ত করেছেন অভিনেত্রীর বোনকে!
প্রোডাকশন টিমের প্রতি তাঁর প্রশ্ন, “শিল্পীদের কি এতটাই ছোট করে দেখা যায় যে তাঁদের সম্মতির দরকার মনে হয় না?” তিনি যে কথাটা সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন, তা হলো শিল্পীর সম্মানই সবচেয়ে বড়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “একজন শিল্পীকে কেউ এতটা সস্তা করতে পারে না! ছবি ব্যবহার করলে তার তো একটা মূল্য দিতেই হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।” তাঁর এই প্রতিক্রিয়া শুধু একটি ব্যক্তিগত ক্ষোভ নয়, বরং পুরো ইন্ডাস্ট্রির সামনে থাকা বড় প্রশ্ন। সৃজনশীল কাজে শিল্পীদের মর্যাদা কতটা মানা হচ্ছে? এই বিতর্ক কোথায় গিয়ে থামবে জানা না গেলেও, শিল্পীর প্রতি সম্মান এবং নৈতিকতার প্রশ্নটা এবার আরও জোরালো হয়ে ফিরে এসেছে।






‘পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চালিয়েই যাচ্ছিল, অবসাদ থাকলেই যা খুশি করা যায় না!’ ‘মান’সিকভাবে অ’সুস্থ হলেও সীমা মানতে হয়, লেবুটা এমন কচলাবেন না যাতে তেতো হয়ে যায়!’– ঋজুকে নিয়ে মানসীর স্মৃতিচারণে সামনে এলো নতুন বিতর্ক, বিভিন্ন ম্যাসেজ করে উত্তপ্ত করেছেন অভিনেত্রীর বোনকে!