Mithijhora Today Episode: বর্তমানে জি বাংলা (Zee Bangla) সবচেয়ে চর্চিত এবং জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। দিনে দিনে নতুন নতুন চমকের কারণে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপি। রাই, নীলু এবং স্রোতের জীবনে একের পর এক নতুন চমক বেশ উপভোগ করছেন দর্শকরা। যদিও বর্তমানে সকলের নজর রয়েছে বড়দিদি রাইয়ের ওপর। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরার জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেয় রাই। তারপর একের পর এক ঝড় ঝাপটা গেছে রাইয়ের ওপর দিয়ে।
তবে বর্তমানে রাইয়ের জীবনে এসেছে বিশেষ চমক। রাইয়ের জীবনে নতুন বসন্তের ন্যায় এসেছে অনির্বাণ। রাইয়ের মরুর ন্যায় রুক্ষ জীবনে এক পশলা বৃষ্টির নেমে এসেছে অনির্বাণের ভালোবাসা। দিনে দিনে জমে উঠেছে রাই আর অনির্বাণের রসায়ন। কিন্তু ভালোবাসার রাস্তা কি অত সহজ হয়? না। আর পাঁচটা প্রেমের কাহিনীর মতোই রাইয়ের জীবনেও এসেছে সমস্যা। সুদীপ্তর গ্রেফতার হওয়ার পর অফিস ছেড়েছে রাই। রাইয়ের বাড়িতে গিয়ে শত চেষ্টা করেও রাইকে অফিসে ফেরাতে পারেনি অনির্বাণ। উল্টে শুনতে হয়েছে অপমান।
মিঠিঝোরার আজকের পর্ব ১৪ মে (Mithijhora Today Episode 14 May)
অনির্বাণের চলে যাওয়ার পর রাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন বৌমণি। তিনি রাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে অনির্বাণকে এইভাবে অপমান করা ঠিক হয়নি রাইয়ের অনির্বাণের অফিসে অফিসে ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু অনির্বাণের অফিসে ফিরবে না বলে বদ্ধ পরিকর রাই। সে জানায় সে অন্য জায়গায় চাকরির জন্য আবেদনও করেছে ইতিমধ্যেই। তখন একটি মেসেজের মাধ্যমে রাই জানতে পারে তার ইন্টারভিউ-এর তারিখ এসে গেছে।
রাইয়ের বাড়ি থেকে এসেই কলকাতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল অনির্বাণ
রাইয়ের বাড়ি থেকে অফিসে ফিরে খুব ভেঙে পড়ে অনির্বাণ। তার মাথায় খালি এটাই চলতে থাকে তার সঙ্গে কেন এমনটা করল রাই। এই ঠিক করে নেয় এবার কলকাতার ব্যবসা গুটিয়ে মুম্বাইতে চলে যাবে সে। অনির্বাণের হঠকারী সিদ্ধান্ত দেখে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন জগদীশবাবু। কিন্তু রাগে দুঃখে যেন দিগ্বিদিক
জ্ঞান শূন্য হয়ে গেছে অনির্বাণ। সে জানিয়ে এখানে আর থাকতে পারবে না। সকলের কর্মচারীর চাকরি চলে যাবে এইভাবে অনির্বাণকে ভাবার জন্য অনুরোধ করেন জগদীশবাবু। এরপর বাড়িতে গিয়ে অনির্বাণ জানতে পারে তার বোন এবং জামাইবাবু এসেছে। তাদেরও অনির্বাণ জানিয়ে দেয় সে কলকাতা ছেড়ে চলে যাচ্ছে যেটা শুনে অবাক হয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন: একেই বলে ভালোবাসা! অর্জুনকে ছেড়ে প্রাণপ্রিয় ডাক্তারবাবুর খোঁজে একাই বেরিয়ে পড়ল দীপা! তবলাকে দিল গুরুদায়িত্ব
স্রোতের কথায় অনির্বাণের অফিসে ফিরতে রাজি হল রাই
এদিকে স্রোতকে কলেজ থেকে জানানো হয় মেডিকেল ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য তাকে কোন অর্থ দিতে হবে না যেটা শুনেই খুব খুশি হয়ে যায় স্রোত। কিন্তু পায়েল বুঝতে পারে এইসবটাই সার্থক করেছে। সার্থক স্রোতের জন্য এত করছে দেখে রেগে যায় পায়েল আর ভেবে নেয় কিছুতেই সে স্রোত আর সার্থককে এক হতে দেবে না। এরপর কলেজ শেষে বাড়ি ফিরে আসে স্রোত। রাইকে সবটা জানিয়ে সে রাইয়ের চাকরির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে। সবটা স্রোতকে বলার পর স্রোত রাইকে বলে তার অফিসে যাওয়া উচিত। কারণ চাকরিটা সে নিজের যোগ্যতায় পেয়েছে। তবে কি এবার স্রোতের কথায় অনির্বাণের অফিসে ফিরবে রাই, আপনাদের কি মনে হয়?