স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় (Anurager Chowwa) এই মুহূর্তে চলছে জমজমাট পর্ব। সেনগুপ্ত বাড়ি সকলের মাথায় হাত। পারিজাত সেনের ষড়যন্ত্রে আজ মাথার ছাদ হারিয়েছে সকলে। আর এই মুহূর্তে, গোটা পরিবার দীপার ভাড়া বাড়িতে এসে উঠেছে। দীপা, অর্জুন যারপরনাই চেষ্টা করে চলেছে সেনগুপ্ত বাড়ি পুনরায় দখল করার। যাবতীয় আইনি কাগজপত্রও তুলে এনেছে সে। তারপর সকলে মিলে চলেছে সেনগুপ্ত বাড়ি পুনরুদ্ধারে।
অন্যদিকে, বাড়ির সকলের কথা চিন্তা করে স্যান্ডউইচ বানাচ্ছিল তিস্তা। জয়কে ফোন করে ডেকেছে সে। আর তখনই তিস্তা নিজের বাড়ির লোকের জন্য স্যান্ডউইচ তৈরি করছে দেখে ক্ষেপে ওঠে ভিক্টর। মুখে কফি ছুঁড়ে মারে তিস্তার। তখনই এসে হাজির হয় জয়। যদিও এসবের কিছুই বুঝতে পারেনা সে। পৃথা আর ভিক্টর খুব ধুর্ততার সঙ্গে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
নিজের পরিস্থিতির জন্য মনে মনে দীপাকে দায়ী করতে থাকে তিস্তা। দীপা নাকি ওরকম পরিস্থিতি না তৈরি করলে সে এত তাড়াতাড়ি ভিক্টর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিত না। কিন্তু পরিবারের এই সংকটপূর্ণ সময়ে নিজের সমস্যার কথা বলে আর চিন্তা বাড়াতে চায় না তিস্তা। মনে মনে ভাবে সূর্য যেন ফিরে আসে।
এরপরের দৃশ্যে দেখাবে, গোটা পরিবার মিলে সেনগুপ্ত বাড়ি উদ্ধার করতে যায়। দীপা বৈধ দলিল তুলে এনেছে। এই তাদের একমাত্র অস্ত্র। কিন্তু বাড়ির সামনে ভিড় দেখে থমকে যায় তারা। বাড়ি নিলামে উঠেছে। ব্যস! এই দেখেই শরীর খারাপ হতে থাকে লাবণ্যর। কিন্তু দীপা সরাসরি বিরোধ করতে থাকে নিলামের।
এমন সময় আসে নয়া টুইস্ট। নিলামে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি কিনে নিতে চায় মিস্টার কুমার। দীপা, লাবণ্য সবাই কুমারকে দেখে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে। মিস্টার কুমার একজন জেল খাটা আসামি। আর লাবণ্য সেনগুপ্তের মা-বাবাকে খুন করেছে সে। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে সে বলে, সেনগুপ্ত বাড়ি কিনে সে নাকি তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়। এখন প্রশ্ন হল, সত্যিই কি নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে চায় মিস্টার কুমার? নাকি আবার অন্য খেলায় মত্ত হবে সে?