সূর্য ছাড়া খাঁ খাঁ করছে সেনগুপ্ত বাড়ি, মিশকাকে প্রশ্রয় দিয়ে এই প্রথম অনুতপ্ত লাবণ্য! অনুরাগের ছোঁয়া দেখে চোখে জল দর্শকদের

নিজের বিবেক দংশনে জেরবার হয়ে সূর্য চলে যাচ্ছে অনেক দূর। মিশকার মন্ত্রণায় দীপাকে দিনের পরদিন ভুল বুঝে এসেছে সে। সন্দেহ করেছে, অপমান করেছে। সেনগুপ্ত বাড়ি, দীপা, সোনা-রূপা আর কারোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চায় না সে। তাই বাড়িতে কাউকে কিছু না জানিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে সে।

এদিকে, খাঁ খাঁ করছে সেনগুপ্ত বাড়ি। এ দৃশ্য সেনগুপ্ত বাড়িতে বিরল। সব সময় লোক সমাগম চলতে থাকে সেনগুপ্ত বাড়িতে। লাবণ্য সেনগুপ্ত আর তার স্বামী বলতে থাকে এই শূন্যতা তাদেরকে গ্রাস করছে। একে একে বাড়িটাকে মুখিয়ে রাখার কারণগুলো চলে গিয়েছে। সূর্য, দীপা, সোনা-রূপা সবাই এক এক করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। রয়েছে শুধু শূন্যতা।

আরো পড়ুন: দারুণ সুখবর! জলসার জনপ্ৰিয় এই নায়িকা এবার ফিরছেন নতুন পৌরাণিক ধারাবাহিকে! জানলে খুশি হবেন আপনিও 

এদিকে, রূপাকে খুনের চেষ্টায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে মিশকার। তার ছেলে বীরকে একজন নার্সের তত্ত্বাবধানে রেখেছেন লাবণ্য সেনগুপ্ত। সেই নার্স এসে লাবণ্যকে জানায়, বীর তার মাকে ছাড়া ভালো নেই। সারা রাত ঘুমোয় না। কান্নাকাটি করে। পরে সেখানে আসে উর্মি আর তার বর। বীরের এবার কী ব্যবস্থা করা হবে এই নিয়ে কথা বলতে থাকে সকলে।

তারপর হয় দৃশ্য বদল। বহুদূর একা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত সূর্য। মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তাই চোখে-মুখে জল ছেটাতে থাকে সে। এমন সময় রাস্তায় একটি লোককে জিজ্ঞেস করে একটি বিশেষ ঠিকানার কথা। লোকটি জানায়, সূর্যের গন্তব্য এখনো বহুদূর।

 

সুদূর কলকাতা থেকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে আসছে সূর্য। একথা শুনে অবাক হয় লোকটি। কেউ এতদূর নিজে নিজে গাড়ি চালিয়ে আসছে! সূর্য তখন লোকটিকে বলে, তার অসুবিধা হচ্ছে না। সে আসলেই অনেকটা দূরে চলে যাচ্ছে। প্ৰিয় মানুষদের পিছুটান কাটিয়ে চলে যাওয়া কোনোকালেই সহজ নয়। আর যে পিছুটান সূর্য ছাড়িয়ে এসেছে, সেখানে এই পথের দূরত্ব আর এমনকি!

You cannot copy content of this page