বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিক জি বাংলার ‘মিঠাই’। প্রায় দু বছর হতে চললো টেলিভিশনের পর্দায় রমরমিয়ে চলছে এই সিরিয়াল। আর এই এতদিনের পথ চলায় একের পর এক নিত্যনতুন টুইস্ট এসেছে গল্পে। প্রথম বড় টুইস্ট মিঠাইয়ের মৃত্যু। আর তারপর গল্পে শাক্য আর মিঠির এন্ট্রি গল্পকে এক নতুন রূপ দেয়।
মিঠি শাক্যের মা না হওয়া সত্বেও শাক্যকে মাতৃস্নেহে মানুষ করছিল। এদিকে সেই ছেলে শাক্যকে সামলাতে সামলাতে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল সিদ্ধার্তের। ছোট্ট খুদে শাক্যর চরিত্রে অভিনয় করছে ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী। যার বয়স মাত্র পাঁচ বছর। যেরূপ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মাতিয়ে রেখেছে ‘মিঠাই’ ধারাবাহিককে, সেরূপ এই খুদেশিল্পী ঝুলিতে রয়েছে রেকর্ড। সবথেকে কম বয়সী বহুভাষী গায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছে “রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার”।
তবুও কিছু দর্শকের মনে হচ্ছিল, শাক্যের চরিত্রে ধৃতিষ্মানকে মানাচ্ছে না। আর তাই নিজের দক্ষতা ছোট্ট বাকি প্রমান করেদিল সম্প্রতি কিছু পর্বের মাধ্যমে। বর্তমানে মিঠাই আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু মিঠাই-এর পুরোনো স্মৃতি কিছু মনে নেই। তাই সিড ধীরে মিঠাইকে সব মনে করানোর চেষ্টা করাচ্ছে। তবে এখনই সব মিঠাই -এর সামনে রেখে দিলে সমস্যা তৈরী হতে পারে। তাই সিড শাক্যকে মা ডাকতে বারণ করেছে মিঠাই-কে।
এবং মিঠাই তার মা জেনেও শাক্য বাবার কথা মতো চুপ আছে। এই চাপের মধ্যে দিয়ে শাক্য যে অসাধারণ অভিনয় সকলের সামনে তুলে ধরছে তা দেখে আপ্লুত সকলে। এক একটা সীনে উঠে এসেছে তার নিপুন অভিনয়। যখন শাক্য মায়ের আদর খাচ্ছিল সে সময় ও বাবাকে দেওয়া প্রমিস্টের কোথাও ভাবছিল।
এই দুই এক্সপ্রেসন একসাথে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ছোট্ট ধৃতিষ্মান। আবার মিষ্টি যখন শাক্যর কথার সুর ধরে বললো, ‘তাহলে তোমার বাবাও আমার বাবা’, শাক্য তখন মিষ্টির থেকে চোখ সরিয়ে সিডের-এর দিকে তাকালো। সেসময়ের এক্সপ্রেসনটাও ছিল দুর্দান্ত।
এক দর্শক সেসসকল এক্সপ্রেশনকে তুলে ধরে একটি পোস্টে লেখেন, “কিছু মুখে না বললেও সেই তাকানোটাই ‘পা, ও এটা কী বললো? তুমি কী সত্যি ওর ও Pa?’ এই ডায়ালগগুলো না বলেই দর্শককে বোঝানোর জন্য ‘more than enough’ ছিলো। তাও শুনতে হয় ধৃতিস্মান নাকি worst casting শাক্য হিসেবে!!! ওকে worst বলার আগে নিজেরা শাক্যর চরিত্রটা কেমন সেটা বুঝে উঠতে পেরেছেন কিনা সেটা ভাবুন”।