তীর্থকে আঁকড়ে বাঁচাতে মরিয়া পুতুল! স্বামীর সুস্থতার জন্য তার কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেল শিমুল! কী করল সে?
Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। মেয়েদের জীবন সংগ্রাম, সমাজ, সংসার এবং পরিস্থিতির বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের কাহিনীকেই বারবার তুলে ধরেছে এই ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকের মাধ্যমে শিমুল, বিপাশা, সুচরিতা, শীর্ষা, পুতুল প্রত্যেকের জীবনের নানা সমস্যার কাহিনী বারবার তুলে ধরেছে ধারাবাহিকটি। তবে তার মধ্যেই মাথা উঁচু করে বাঁচার জন্য লড়াই করার কথা বলেছে এই ধারাবাহিকটি।
তবে সম্প্রতি ধারাবাহিকের কাহিনী বাঁক নিয়েছে অন্যদিকে। বর্তমানে ধারাবাহিকের কেন্দ্রবিন্দু পুতুল। অসুস্থ স্বামীকে সুস্থ করার জন্য পুতুলের আপ্রাণ চেষ্টা। গান গেয়ে অর্থ উপার্জন করে স্বামীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য লড়াই হয়ে উঠেছে ধারাবাহিকের মুখ্য বিষয়বস্তু। তবে মাকে ঠিকভাবে পাশে না পেলেও ননদের এই লড়াইয়ে এগিয়ে এসেছে বউদি অর্থাৎ শিমুল। সেও নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে পুতুলকে সাহায্য করার।
কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ৩১ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 31 May)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে তীর্থর এনজিও অনুষ্ঠানে গান গেয়ে বাড়িতে ফিরেছে শিমুল, পরাগ আর পুতুল। কিন্তু মেয়েকে গান গাইতে যেতে দেখেই শিমুলের ওপর চড়াও হন মধুবালা দেবী। নানাভাবে তিনি অপমান করতে থাকেন শিমুলকে। এমনকি ছেলেও যখন তাকে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করে তখনও তার কথাও না শুনে শুধুমাত্র প্রতীক্ষার কথা মেনেই পরাগ আর বিশেষত শিমুলকে দোষারোপ করতে শুরু করে মধুবালা দেবী।
মায়ের এরকম কান্ড দেখে চুপ করে থাকতে পারেনি পুতুলও। সেও মধুবালা দেবীকে বলে সবাই তাকে বোকা, অবুঝ বললেও তার মাথা যা বুদ্ধি আছে সেটাও মধুবালা দেবীর নেই। তখনই শিমুল বলে তারা এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে অন্যত্র। সেটা শুনেই প্রতীক্ষা বলে চলে যাওয়ার আগে এই সম্পত্তিতে তারা কোন ভাগ নেবে না এমনটা লিখে যেতে। কথাটা শুনে শিমুল স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যতদিন মধুবালা দেবী বেঁচে আছে সে কিছু লিখে দেবে না। এই বলেই ঘরে চলে যায় শিমুল।
আরও পড়ুন: দীপার গাফিলতিতে প্রকাশ্যে সূর্যের আসল পরিচয়! মিসেস দাস ও ডক্টর স্যানালের সামনে হল পর্দাফাঁস
পুতুলের কান্ড দেখে অবাক হয়ে গেল শিমুল আর পরাগ
পরেরদিন সকালে হাসপাতালে থেকে ফোন আসে শিমুলের কাছে। তারা তড়িঘড়ি হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে তীর্থকে অন্য কোন হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে এবং দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এটা শুনেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় পুতুল। পেপারে সই করে শিমুল খেয়াল করে পুতুল হাসপাতালে নেই। পুতুলকে খুঁজতে খুঁজতে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে তারা দেখে পুতুল গান গেয়ে টাকা রোজগার করছে। পুতুলের এরকম পরিস্থিতি দেখে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেনা পরাগ আর শিমুল। তীর্থকে বাঁচানোর জন্য কি আদৌ কোন রাস্তা বের করতে পারবে শিমুল আর পুতুল? আপনাদের কি মনে হচ্ছে?