দর্শকদের চাহিদা মতো ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের লেখিকা মিঠাই-কে ফিরিয়ে এনেছে। আর এরপরই দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে ‘মিঠাই’ ভক্তগণ। ধারাবাহিকে মিঠাই-এর মৃত্যুর পর এসেছিল মিঠি। এই মিঠি হুবহু মিঠাই-এর মতোই দেখতে। দুষ্টু- মিষ্টি মেয়ে মিঠির অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিল অনেকেই। এদিকে মিঠাই ফিরে আসতে কয়েকদল ভক্ত মিঠাইকে তার জায়গাতে আবার দেখতে চান, আবার কিছু দর্শক মিঠিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়।
ধারাবাহিকের প্রথম থেকেই মিঠাই-উচ্ছেবাবুর দুষ্টু-মিষ্টি জুটি বেশ প্রিয় সকলের। পাশাপাশি মিঠাই-এর অভিনয়, মুখের মিষ্টি ইংরেজি শব্দ, আদব-কায়েদার প্রেমে পড়েছেন বহুজন। মিঠাই-এর মৃত্যুর পর ধারাবাহিকের টিআরপিও তাই তলানিতে নামতে শুরু করে। মিঠাইকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে দর্শক। এরপরই মিঠি রূপে সৌমিতৃষার ফের আগমন। সিডের ছেলে শাক্যের সঙ্গে এক মধুর সম্পর্কে আবদ্ধ হয় মিঠি।
মিঠির মাতৃস্নেহ, দুষ্টু মিঠির চটাং চটাং কথা ফের জয় করে নেয় দর্শকদের মন। তবে এরপরও মিঠাই-এর জায়গাটা মুছে যায়নি। ভক্তদের চাহিদায় ফের মিঠাই-এর এন্ট্রি হয় ধারাবাহিকে। এরমাঝে রয়েছে মিঠাই-সিডের ছেলে শাক্য। মাকে ফিরে আসতে দেখেও মা বলে ডাকতে পারছে না সে। বাবা সিড তাকে বারণ করেছে। মিঠাই তার পুরোনো স্মৃতি সব ভুলে গিয়েছে। সিড তাই সর্বদা প্রয়াস করে চলেছে যাতে মিঠাই নিজের স্মৃতি নিজেই ফিরে পায়। আর তাই মিঠাইকে মনে করাতে মিঠিকে মিঠাই সাজিয়েছে।
মিঠাই এর জন্মদিনেও মিঠিকে মিঠাই সাজিয়ে উজ্জাপন করা হচ্ছে। আর তা দেখেই খেপে উঠেছে মিঠাই ভক্তরা। তাদের কথায়, এখানে মিঠিকে এনে মিঠাই-এর জায়গা মুছে ফেলা হচ্ছে। আর এরফলে মিঠি আর সিড আরও ক্লোস হয়ে পড়বে। এমনিতেও পরিস্থিতির চাপে পড়ে মিঠিকে বিয়ে করেছে সিড। যদিও সেই বিয়ে দুজনের কেউ মানে না। তবে দর্শকদের মনে ভয় যে যদি মিঠাইকে মনে করাতে গিয়ে সিড মিঠির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে।
আবার কিছু দর্শক বলছে, এটি শুধুই নাটক। এটা মিঠাইকে মনে করানোর জন্যই সঠিক উপায়। আর তাই সিড মিঠাই-এর জায়গা কোনোদিনও কাউকে দিতে পারবে না। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে চর্চা। সকলেই অপেক্ষায় কবে মিঠাই-এর সব মনে পড়বে। আবার সিড-মিঠাই সুখে সংসার করবে ছোট্ট শাক্য ও মিষ্টিকে নিয়ে। উল্লেখ্য, মিঠাই-এর সঙ্গে ধারাবাহিকে এন্ট্রি নেওয়া ছোট্ট মিষ্টি আসলে কার সন্তান তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সিড মিষ্টিকে তার মেয়ে ভেবেই আপন করে নিয়েছে।