বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি এখন তাঁরাই। তবে গুঞ্জন শোনা যায় যে রিয়েল লাইফে তাঁদের সম্পর্ক নাকি একেবারেই ভালো নয়। তবে রিল লাইফে তাঁদের জুটির ভক্ত সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। বিগত দু’বছর ধরে এই জুটিতেই মজে বাঙালি দর্শক। বুঝেছেন তো তাঁরা কারা? হ্যাঁ, অবশ্যই মিঠাই-সিদ্ধার্থ জুটি।
একাধিক বার এই ধারাবাহিক বন্ধের গুঞ্জন উঠলেও জি বাংলায় সম্প্রচারিত জনপ্রিয়তম ধারাবাহিক যে ‘মিঠাই’ তা অস্বীকার করা যাবেনা। বাঙালি দর্শকের কাছে ভীষণ ভীষণ জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি। অবশ্যই সেই সঙ্গে এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা জুটিটিও। এই ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সৌমীতৃষা কুন্ডু। আর নায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন সুদর্শন, সুপুরুষ অভিনেতা আদৃত রায়।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই অভিনেতা অভিনেত্রী জুটির পরিচয় পত্র। মিঠাইয়ের আধার কার্ড আর আদৃতের স্পেশাল ব্রাঞ্চের আইডি কার্ড! উল্লেখ্য, আর এই দুই কার্ড দেখে আঁতকে উঠেছেন নেটিজেনরা। কিন্তু কেন? কী এমন দেখলেন তাঁরা?
এই দুই আধার কার্ডে দুজনের জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে। মিঠাইয়ের জন্ম তারিখ ৪.৩.২০০১ আর সিদ্ধার্থর জন্ম তারিখ ৩১.১১.১৯৯২। দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ৯ বছরের। সে সবই ঠিক আছে। কিন্তু গোল পেকেছে অন্য জায়গায়! কোথায়?
আসলে সিদ্ধার্থ অর্থাৎ সবার প্রিয় উচ্ছে বাবু বা মিঠাইয়ের সিডি বয় যাকে বলে একেবারে মহাপুরুষ। জানেন কী তিনি যেদিন জন্মেছেন সেদিন পৃথিবীর আর কেউই জন্মগ্রহণ করেননি। কী বলছেন? এত বড় পৃথিবীর কেউই জন্মাননি? আজ্ঞে হ্যাঁ! আসলে তিনি যেদিন জন্মেছেন সেই দিনটি পৃথিবীর ক্যালেন্ডারে নেইই। কারণ নভেম্বর মাস শেষ হয় ৩০ দিনে। কিন্তু সিদ্ধার্থ জন্মেছেন ৩১ তারিখ। আর এমন জন্মদিন দেখে অবাক নেটিজেনরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত তাই লিখেছেন, দ্যা গ্রেট সিদ্ধার্থ মোদাক কেন এতো ইউনিক এই বার বোঝা গেল। আসলে সিদ্ধার্থ এমন একদিনে জন্ম নিয়েছে যেদিন পৃথিবীর আর কেউ জন্ম নেয়ার সুযোগ পাই নি, তাই উনি সবার থেকে আলাদা। সবার থেকে ইউনিক।