সিরিয়াল মানেই অফুরন্ত বিনোদনের জায়গা কিন্তু আজকাল যে পরিমাণে হু হু করে বাংলা টেলিভিশনে একের পর এক সিরিয়াল আসছে তাতে বিনোদন আগের মত থাকলেও প্রতিযোগিতা বরং বেড়ে যাচ্ছে বেশি। জি বাংলা থেকে শুরু করে স্টার জলসা এবং অন্যান্য সব বাংলা চ্যানেল গুলোতে একই অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিগত কয়েক মাস থেকে।
একের পর এক নতুন সিরিয়াল আসলেও জি বাংলার সিরিয়াল এখন পর্যন্ত নিজের জনপ্রিয়তা এবং টিআরপি ধরে রেখেছে তার মধ্যে যার নাম না নিলেই নয় সেটি হল মিঠাই। সুখে দুখে মিষ্টি মুখে মিঠাই রানীকে না দেখলে দর্শকদের পেটের ভাত হজম হয় না এমনটাই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। দু বছরের বেশি সময় ধরে ক্রমাগত সিরিয়াল চলছে এবং গল্পে একঘেয়েমি আসেনি উপরন্ত একের পর এক চমক নিয়ে হাজির হয়েছে গল্প।
যদিও এই সিরিয়ালের পাশাপাশি টেক্কা দিতে হাজির হয়েছে আরো একটি সিরিয়াল যার মধ্যে পারিবারিক ড্রামা থাকলেও তার থেকেও বেশি রয়েছে রহস্য। নাম জগদ্ধাত্রী। একটি মেয়ের পুলিশ অফিসার হয়ে ওঠার গল্প এবং তারপর কারোক্রমে নিজের শ্বশুরবাড়ির ক্রিমিনালদের ধরা রহস্যের জাল থেকে সমস্ত সমাধান করা এসব কিছুর মধ্যে দিয়ে পেরিয়ে জগদ্ধাত্রী এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে এখন যা সহজেই টিআরপি দখল করে নিয়েছে। হ্যাঁ, মিঠাই ধারাবাহিকের মতো এর যাত্রা দু বছর হয়নি কিন্তু তার আগেই দর্শকদের মনে পাকা পাকা কিভাবে নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছে সেটা এর টিআরপি প্রমাণ দিচ্ছে।
যদিও এবার টিআরপি নয় হাতেনাতে ফল পাওয়া গেল। এবারে জি বাংলার সোনার সংসার অনুষ্ঠানে সেরা জুটি হলো জগদ্ধাত্রী-স্বয়ম্ভূ। পুরনো জুটির কাছে জয়ী হলো নতুন জুটি। তাহলে কি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে সিধাই জুটির?
আসলে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ার আগে মোটামুটি দর্শক মহলে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল সেখান থেকে একটা অনুমান উঠে আসে যে এবার হয়তো সেরা জুটি হতে চলেছে মিঠাই আর সিড। তাদের বিভিন্ন ধরনের দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক এবং বিভিন্ন চমক দর্শকরা গ্রহণ করেছে সাগ্রহে। তার পাশাপাশি এই জুটির অনস্ক্রিম কেমিস্ট্রি এতটাই গভীর যে রীতিমতো জল্পনা ওঠে যে সৌমীতৃষা আর আদৃত দুজন প্রেম করছে বাস্তবে। যদিও এই অ্যাওয়ার্ড প্রমাণ দিল সে সবকিছু ভুল।