স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পুলিশ স্বতন্ত্র আর কমলিনীকে বাড়ি নিয়ে এসেছে। বাড়িতে আসতে না আসতেই চন্দ্র, বুবলাই-বর্ষা এবং চন্দ্রের মা অপমান করা শুরু করে তাদের। এমনকি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বতন্ত্রকে থানায় আসতে বলে। স্বতন্ত্র পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়, পুলিশের যা যা করার করতে পারে, কিন্তু সে কোনও ভাবেই থানায় যাবে না।
কমলিনীও পুলিশকে বলে, সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক স্ব-ইচ্ছায় স্বতন্ত্রর সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল এবং রাত কাটিয়েছে, তাই এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্টে পুলিশের নামেই মানহানির মামলা করার হুমকি দেয় কমলিনী। পুলিশ চলে যেতেই চন্দ্র স্বতন্ত্রকে বলে, তাদের জীবন থেকে চলে যেতে। কমলিনী চন্দ্রকে মনে করিয়ে দেয়, স্বতন্ত্রর এই বাড়িতে দাঁড়িয়ে তাঁকেই চলে যেতে বলা নেহাত ছেলেমানুষি।
এবার চন্দ্রের মা স্বতন্ত্রকে অপমান করে বলে, এককালে তিনি দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছেন। স্বতন্ত্র পাল্টা একই কথার রেশ ধরে চন্দ্রের মাকে বলে, স্বতন্ত্রই একদিন সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছিল তাদের। যেহেতু বন্ধুর মাকে মাসি বলে ডাকে, তাই ‘পুষেছে’ শব্দটা ব্যবহার করতে পারবে না। এই কথা শুনে চন্দ্রর মা আরও কটাক্ষ করে বলেন, দুদিন খাওয়া-পরা দিয়ে এখন সংসার ভাঙতে এসেছে।
কমলিনী এই কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে অকৃতজ্ঞ এবং বেইমান বলে শাশুড়িকে। স্বতন্ত্র চলে যাওয়ার আগে মিঠি আর কুর্চিকে কমলিনীর খেয়াল রাখতে বলে। কমলিনী জানায়, সে আর আগের মত দুর্বল নেই। এখন সে নিজের হয়ে আওয়াজ তুলতে পারে। স্বতন্ত্র চলে যেতেই কমলিনীকে শাশুড়ি মা চরিত্রহীন, ঘেন্না লেগে এমন মেয়ের দিকে তাকাতে, ইত্যাদি বলতে শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ “নায়িকা হতে গেলে একটু ‘বুকের খাঁজ’ দরকার!”— পরিচালকের কুৎসিত মন্তব্যে শিউরে উঠেছিলেন শোলাঙ্কি! ‘ব্রে’স্ট সা’র্জারি’ না করলে নায়িকা হওয়া যাবে না, সরাসরি বলেছিলেন এক পরিচালক! অবশেষে ফাঁস করলেন অভিনেত্রী তাঁর নাম!
কমলিনী প্রতিবাদ করতেই, তিনি কমলিনীর সন্তানদের অভিশাপ দিতে শুরু করেন। কমলিনী নিজের উপর লাগা সব কলঙ্ক মেনে নিতে রাজি, তবে নিজের ছেলের কেচ্ছা ভুলে কিভাবে চন্দ্রের মা একজন অন্য মহিলাকে সমস্ত দোষারোপ করছে!— প্রশ্ন তোলে কমলিনী। প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত কমলিনী বলেই ফেলে শাশুড়িকে, যে এই বাড়ি কমলিনীর। সে দয়া করে থাকতে দিয়েছে বলে অপরাধী ছেলেকে নিয়ে থাকতে পারছেন তার মা।