স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীর ঘরে সকাল হতেই চন্দ্রকে নিয়ে তার মা উপস্থিত হন। চন্দ্র কমলিনীকে বলে, বুবলাই এর কথাই ঠিক। এতদিন বিধবা হওয়া সত্ত্বেও কমলিনী নতুনের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রেখে গেছে, তার ফল স্বরূপ নতুন এই বাড়ি তাঁকে দিয়েছে। তারপরেও নির্লজ্জের মতো কমলিনী নাকি সেখানেই আছে।
কুর্চি সেখানে উপস্থিত থাকায় প্রতিবাদ করলে, চন্দ্র তাঁকেও সংসার থাকা সত্ত্বেও বাপের বাড়ি পড়ে আছে বলে অপমান শুরু করে। এবার নিজের আসল কথাটা বলেই ফেলে চন্দ্র, কমলিনীকে বাড়িটা তাঁর নামে করে দিতে বলে। চন্দ্র জানায়, সে খুব বিপদে পড়েছে, বাড়িটা পেলে অর্ধেক অংশ বেচে সোহিনীদের বিদায় করতে পারবে। কমলিনী বলে দেয়, এই বাড়ি সে উপহার পেয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে সে দিতে পারবে না।
কমলিনীর শাশুড়ি এবার নিজের নামে বাড়িটা চান, কমলিনী সেই প্রস্তাবও প্রত্যাখান করে। এবার চন্দ্র কমলিনীকে হু’মকি দিয়ে বলে, এই বাড়িতে থাকতে দেবে না। কমলিনী পরিষ্কার করে সপরিবারে চন্দ্রকে বাড়ি ছাড়তে বলে দেয়। এরপর নতুনের সঙ্গে একটা রেস্তোরাঁয় দেখা করতে যায় কমলিনী। নতুন কমলিনীকে তাঁর কাছে রক্ষিত গয়নাগাটি ফেরত দিয়ে দিতে চাইলে, প্রথমে বাড়ির পরিস্থিতি ভেবে ফেরত নিতে চায়না সে।
এরপর নতুন চন্দ্র-কমলিনীর ডিভোর্সের পিটিশন তুলে দেয় কমলিনীর হাতে। তাতে স্বাক্ষর করার পর, মনের জোর পেয়ে কমলিনীকে নতুন এতদিনের না বলা কথা বলেই ফেলে। সে কমলিনীকে ডিভোর্স পরবর্তী জীবন তাঁর সঙ্গে কাটানোর প্রস্তাব দেয়। বৌঠান ছেড়ে নাম ধরে রাখতে শুরু করে নতুন, কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে কমলিনী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কমলিনীর কথায় তার দুই সন্তান এই মুহূর্তে বিবাহযোগ্য।
আরও পড়ুনঃ “অ্যাডজাস্ট করতেও সীমা থাকে! জয় শুধু পচা মাছ কেনে, সংসার চালাই আমি!”— দাম্পত্য নিয়ে অকপট লোপামুদ্রা! স্বামীর ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা কটাক্ষ! দাম্পত্যে সমঝোতা না আত্মমর্যাদাকে বেশি প্রাধান্য দেন তিনি?
মা হয়ে এই বয়সে স্বার্থপরের মতো নিজের জীবন সে গোছাতে পারবে না আগে। কমলিনীর কাছে নতুন চিরসখা, এর বাইরে কোনও সম্পর্ক সে রাখতে চায় না, কিন্তু নতুন নাছোড়বান্দা। সে কমলিনীকে এতদিনের অপূর্ণ সুখ-শান্তি ফিরিয়ে দিতে চায়। নতুন বলে, এবার থেকে কমলিনী যেন তাঁকে স্বতন্ত্র বলেই ডাকে। এরপর কমলিনীকে জোর করে আমিষ খাওয়ার খেতে বাধ্য করে সে।