স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, কমলিনীর বাপের বাড়ির লোকেরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে আসে ‘অধরা মাধুরী’ থেকে। কিন্তু প্রথমেই চন্দ্রের মা, অর্থাৎ কমলিনীর শাশুড়ির কাছে বাধাপ্রাপ্ত হন তাঁরা। পরে অবশ্য কমলিনীও বেঁকে বসে, জানিয়ে দেয় যে এই বাড়ি থেকে কোথাও যাবে না সে।
এদিকে শাশুড়ি মা কথায় কথায় মুখ ফসকে বলে ফেলেন, চন্দ্রকে তাঁর গয়না থেকে কিছুটা দিয়েছেন। যাতে চন্দ্র সেগুলো বন্ধক রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী এবং মেয়ের পাশে দাঁড়াতে পারে। এই ঘটনা শুনে সবাই অবাক হয়ে যায়, যেখানে এই গয়না খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে সবাইকে অভিশাপ পর্যন্ত দিয়েছিলেন তিনি। আর অবলীলায় সেই গয়নায় অপরাধী ছেলেকে দিয়ে দিলেন!
চন্দ্রের মা বলেন, এই বয়সে এতো গয়না দিয়ে কি হবে, তাই দিয়ে দিয়েছেন। এদিকে কমলিনী সবাইকে জানায়, এই গয়না তাঁর শাশুড়ির নিজের নয়, বরং নতুন বানিয়ে দিয়েছিল এক সময়ে। শাশুড়ি মা এবার চুপ না করে, কমলিনীকে কটাক্ষ শুরু করেন, এই বলে যে নতুন তাকেও গয়না গড়ে দিয়েছিল অনেক। কমলিনী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলে, সেই নিয়ে শাশুড়ি মা কম অশান্তি করেননি।
এমনকি নিজে বিধবা হওয়া সত্ত্বেও, কমলিনী বিধবা হয়ে গয়না কি করবে– এমন কথাও বলেছিলেন তিনি। আর কথা না বাড়িয়ে কমলিনী সবাইকে জানিয়ে দেয়, এই বাড়ি ছেড়ে সে যাবে না। ডিভোর্সের পর নিচতলা ছেড়ে দিয়ে উপরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে থাকবে, কুর্চিও সঙ্গ দেবে ঠিক করে। এমন সময়ে নতুন হাজির হয়, মিটিল সবটা খুলে বলে তাঁকে। বর্ষা-বুবলাই আপত্তি করে, তারা উপর তলাতেই থাকবে নিচে নামবে না!
আরও পড়ুনঃ “সংসার করো, কিন্তু আলাদা থেকে” “স্বামী-স্ত্রীর আলোচনা শশুর-শাশুড়ির জানা উচিত নয়!”— বিয়ের পর ছেলেদের আলাদা করে দেন মিঠু! বর্তমান সমাজে বিয়ে বাঁচাতে, স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই নিজের বাড়ি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী!
নতুন বলে, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ ডেকে কাজটা করতে হবে। এরপর নতুন চন্দ্রের মাকে বলে, চন্দ্র যদি সোজা কথা কমলিনীকে ডিভোর্স না দেয়, তাহলে হাজতবাস হতে পারে। চন্দ্রের মা নতুনকে বন্ধুর নামে কলঙ্ক বললে, নতুন প্রতিবাদ করে বলে যে এটা আগেই হলে কমলিনীর জীবন নষ্ট হতো না। এরপর কমলিনীও জানায়, এবার থেকে সে নিজের জন্য বাঁচবে, আর বাকি জীবনে নতুনের ভালো থাকার দায়িত্ব নেবে।