চন্দ্রের কাছে দু’লাখ টাকাই সম্পর্কের দাম! চন্দ্রর টাকায় ঘৃণা উগরে দিল সোহিনী! আদালতে কমলিনীর বিরুদ্ধে কুর্চির প্রাক্তন স্বামীকে দাঁড় করাল চন্দ্র! —’চিরসখা’য় শুরু আইনি মহাযুদ্ধ!

স্টার জলসার ‘চিরসখা’র (Chiroshokha) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, চন্দ্র সোহিনীকে দুই লক্ষ টাকা দিয়ে চলে যেতে বলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। চন্দ্রের ব্যবহার দেখে সোহিনী বেঁকে বসে। চন্দ্রকে সাফ জানিয়ে দেয়, এই টাকা নিয়ে সে যাবে না। সোহিনী কথায়, এই অল্প টাকা দিয়ে বেশিদিন চলা সম্ভব নয়

একদিকে তারা না খেয়ে, পাওনাদারদের কথা শুনে দিন কাটাবে আর চন্দ্র এদিকে মিথ্যে কথা বলে সুখে সংসার করবে, সেটা কখনওই সোহিনী হতে দেবে না। এই কথা শুনে চন্দ্র সোহিনীকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করে বলে, তার সঙ্গে সোহিনীর বিয়েই হয়নি বা হলেও তার কোনও প্রমাণ নেই। সোহিনী যদি কাউকে বলতে চায়, তাহলে নিজেই ফেঁসে যাবে।

Chiroshokha, Star Jalsha, Aparajita Ghosh Das, Sudip Mukherjee, Leena Ganguly, Shinjinee Chakraborty, Rajannya Mitra, Raja Goswami, Vivaan Ghosh, Anashua Majumdar, Serial Update, Chiroshokha today episode, চিরসখা, স্টার জলসা, রঞ্জনা মিত্র, সুদীপ মুখার্জী, অপরাজিতা ঘোষ দাস, লীনা গাঙ্গুলি, অনুসূয়া মজুমদার, রাজা গোস্বামী, সিরিয়াল আপডেট, চিরসখা আজকের পর্ব

চন্দ্র বলে ওই টাকা সাময়িক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য দিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বাড়ি বিক্রি করে, অর্ধেক টাকা তাকে দিয়ে দিবে। সোহিনী প্রশ্ন তোলে ততদিন মেয়ের পড়াশোনার কি হবে? উত্তরে চন্দ্র বলে, কপালে না থাকে যদি, তেমন হলে ছাড়িয়ে দিতে হবে পড়াশোনা। সোহিনী রেগে গিয়ে লম্পট, ঠগ, ইত্যাদি বলতে থাকে চন্দ্রকে।

কমলিনীর পক্ষ নিয়ে সোহিনী বলে, সে যা করছে একদম ঠিক করছে। স্বতন্ত্রকে সোহিনীর অত্যন্ত ভদ্র মানুষ বলেই মনে হয়। কিন্তু কটাক্ষ করে চন্দ্র বলে, বিয়ে না করে অন্যের বউকে ভোগ করা মানুষ স্বতন্ত্র। এই কথায় সোহিনীর চোখে চন্দ্র আরও নিচে নেমে যায়। এরপরে দেখা যায় আদালতে দুই পক্ষের উকিল এবং বাড়ির লোকেরা হাজির হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বাইরন-ক্রিস্টিনের পরকীয়া কাণ্ডে, নেটদুনিয়ায় ট্রেন্ডে ফিরলেন ‘জুন আন্টি-অনিন্দ্য দা’! বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বাস্তব কাহিনি মনে করিয়ে দিল ‘শ্রীময়ী’র গল্প! “অনিন্দ্য-জুনকে মানুষ আজও রিলেট করে, আমি ভাগ্যবান!” অকপট সুদীপ মুখার্জি, কী বলছেন ঊষসী?

চন্দ্র নিজের পক্ষে লড়ার জন্য কুর্চির প্রাক্তন স্বামীকে উকিল করে এনেছে। কুর্চি স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়ে, কিন্তু কমলিনী সান্তনা দেয়। কমলিনীর আন্দাজ যে কুর্চির প্রতি রাগ থেকেই হয়তো তাঁর স্বামী এই কেসটা নিয়েছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী কমলিনী স্পষ্ট জানায়, যে পরিণতি হোক না কেন এই মামলার, সে চন্দ্রকে জীবন থেকে তারিয়েই ছাড়বে। পরবর্তীতে স্বতন্ত্রও হাজির হয় কোর্টে।