দুর্ঘটনা রূপার! বাবার কর্তব্য পালনে অক্ষম সূর্য! দীপার হাতে এলো কাস্টডি পাওয়ার তুরুপের তাস

ত্রিকোণ প্রেমের সমীকরণ ও সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। সূর্য-দীপার বিয়ের পর থেকে মিশকা তাঁদের আলাদা করার এক চুলও সুযোগ ছাড়েনি। কিন্তু মিশকা ব্যর্থ হয়েছে প্রতিবার। তাও হাল ছাড়ার পাত্রী সে কোনোকালেই ছিল না। এবার কলকাঠি নেড়ে সূর্য-দীপার ডিভোর্স করিয়েছে সে। শুধু তাই নয়। দীপা-সূর্যের মধ্যে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে এখন। এর পিছনেও দায়ী মিশকা। বন্ধু সূর্যকে আঙুলে নাচাচ্ছে সে। আর তাই এখন সূর্যর সন্তানদের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের গল্পে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানদের কাষ্টডি নিয়ে চলছে জোর লড়াই। দুই মেয়ে, সোনা-রূপাকে ফিরে পেতে মরিয়া সূর্য। অন্যদিকে, মিশকার উপস্থিতিতে সেনগুপ্ত বাড়িতে নিজের মেয়েদের রাখা নিরাপদ বলে মনে করেনা দীপা। তাই আদালতের রায়ের উপরই ভরসা রেখেছে দুই পক্ষ।

এরই মাঝে একদিন শুনানিতে রূপা বলে সে তাঁর বাবার কাছে থাকতে চায়। আদালত থেকে রূপাকে সূর্যের সঙ্গে থাকার অনুমোদনও দেওয়া হয়। কিন্তু সেনগুপ্ত বাড়ি আর ভাল লাগে না তাঁর। সে বায়েনাক্কা জোরে হিংসেকুটি আর তাঁর মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার। আর তাই সূর্য দীপাকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকে। এদিকে, দীপা সূর্যের সঙ্গে কোনো রকম কথোপকথোনে আসতে চায় না। তাই সূর্যের ফোন এড়িয়ে যায় সে।

আর সূর্যতো রূপাকে সামলাতে সামলাতে বেসামাল হয়ে পড়ে। কিছুতেই শান্ত হয়না রূপা। বাবার সঙ্গ যেন তার একটুকুও ভাল লাগছে না। তাই সে সূর্যকে বলে, ‘আমি চলে যাব। হিংসেকুটি আর মা যেখানে, রুপাও সেখানে।’ এদিকে, মেয়ের মুখে নিজের তিরস্কার শুনে ভেঙে পড়ে সূর্য। রূপা তাঁর সঙ্গে এমন ভাবে কথা বলছে? ভাবলেই মনের ভিতর হু হু করে কষ্ট পাচ্ছে সূর্য। এরমধ্যে সে খেয়াল করেনা কখন রূপা নিজের রাস্তায় বেরিয়ে দৌড় দিয়েছে।

আর রূপা বাইরে আসতেই সোনায় সোহাগা মিশকা। সূর্য-দীপার মাঝের দূরত্ব বাড়ানোর জন্য কি না করতে পারে সে। মনে মনে ভাবে, এখন যদি রুপার কিছু হয়ে যায় সূর্যকে আর কোন‌দিন সহ্য করতে পারবে না দীপা। আর তাই তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভবনা হয়ে যাবে শূন্য। এই বলে রূপাকে গাড়ির ধাক্কা দেয় সে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেখানে অর্জুন ছিল। তাই গাড়ির ধাক্কায় রূপা মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও সত্ত্বর হাসপাতালে নিয়ে যায় সে।