বিবেক দংশনে জেরবার সূর্য! চক্ষু লজ্জায় এবার সবাইকে ছেড়ে অচেনার উদ্দেশ্যে পাড়ি নায়কের

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্ৰিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। শ্যামবর্ণা মেয়ের জীবন সংগ্রামের গল্প শুরুর দিন থেকেই মনে ধরেছিল দর্শকদের। তাই শুরু থেকে টিআরপিও ছিল তুঙ্গে। সম্প্রতি গল্পের প্রতি আগ্রহ কমেছে দর্শকদের। যার জেরে টিআরপির (TRP) পতনও হয়েছে। এই মুহূর্তে তাই দর্শক টানতে ধারাবাহিকে আসছে নিত্য নতুন টুইস্ট।

সুস্থ হয়েই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে রূপা। তার বয়নের ভিত্তিতে মিশকা দশ বছরের হজত বাসের সাজা পেয়েছে। যা শুনে বেজায় খুশি দর্শক মহল। অন্যদিকে, মিশকা জেলে যাওয়ায় সেন সেনগুপ্ত বাড়ির সকলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। এখন ভালোয় ভালোয় রূপা সুস্থ হয়ে গেলেই হল।

অন্যদিকে, নিজের ভুলে বুঝতে পারছে সূর্য। দীপার সঙ্গে দূরত্ব, দীপাকে অর্জুনের সঙ্গে জড়িয়ে ভুল বোঝা সবকিছুর জন্য বিবেক দংশন চলতে তার ভিতরে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাবে। হাসপাতাল থেকে তার জিনিসপত্র গুছিয়ে বেরিয়ে যায় সে। সহকর্মীদের বলে, ম্যানেজমেন্টকে তার রেজিগনেশন জমা দিতে দিতে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় সূর্যের মনে পড়তে থাকে এই হাসপাতালে তার জীবনের কতটা সময় কেটেছে। এমন কি দীপার সঙ্গে প্রথম দেখাও এখানে।

এরপরই হয় পট বদল, হাসপাতালে রূপাকে রেখে যেতে এসেছেন সকলে। সবার মনে আক্ষেপ আজ এই বদমাইশ মিশকার জন্য সূর্য-দীপার পথ আলাদা। লাবণ্য দেবী রীতিমতো নিজেকেই দোষারোপ করতে থাকেন এসব কিছুর জন্য।

এদিকে, ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে ফেলেছে সূর্য। মিশকার ছেলেকে কোলে দিয়ে তাকে চুপ করানোর চেষ্টা করছে। বাড়ির কাজের লোক বাচ্চাটার জন্য জল নিয়ে আসে। সূর্য তাকেই জল খাওয়াতে বলে ব্যাগ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে যায়। তখন কাজের লোক তাকে জিজ্ঞেস করে, “বাবু আপনি কোথাও যাচ্ছেন?” সূর্য তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে মাত্র। তার চোখ ভারী হয়ে আসে। মনে পড়তে থাকে এই সেনগুপ্ত বাড়িতে কাটানো জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো। একটা সময়ে বাড়ির সকলের সঙ্গে কি হইহুল্লোড় করেই না কেটেছে দিন গুলো। এখন প্রশ্ন হল, কোথায় যাচ্ছে ড. সূর্য?