ব্যক্তিগত প্রবলেম! রূপা গাঙ্গুলির ‘মেয়েবেলা’ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক অনস্ক্রিন বৌমা মৌ! পুরনো বীথি মাসির যুক্তিকে যুক্তিহীন বলে দাবি স্বীকৃতির
১৪ই জুন শেষ হয়েছে ‘মেয়েবেলা’র শুটিং। জানা গিয়েছে, ‘মেয়েবেলা’র শেষ সম্প্রচার হবে ২৪শে জুন। টিআরপি কম হলেও ধারাবাহিকটি ছিল দর্শকদের বেশ প্রিয়। কিন্তু কম টিআরপি ৫ মাসেই ছিনিয়ে নিল মেগার স্থায়ীকাল। বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিক টিকে রয়েছে নিজেদের টিআরপির উপর। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিকের স্থায়ীকাল তত বেশি। আর তাই এই টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টায় বর্তমানে সমস্ত ধারাবাহিক একপ্রকার যেন যুদ্ধে নেমেছে।
আর সেই যুদ্ধে জেতার জন্য একের পর এক টুইস্ট আনছে ধারাবাহিকগুলো। ইতির খাতায় এবার নাম লেখালো ‘মেয়েবেলা’। চলতি বছরের ২৩শে জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এই মেগা। তবে এই ধারাবাহিকের শেষের পর কি করছেন ধারাবাহিকের এই জনপ্রিয় জুটি? শেষের পর কেমন আছেন ‘মৌ’ স্বীকৃতি মজুমদার? তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান, আপাতত তিনি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করছেন। তবে খুব শীঘ্রই পছন্দের ডেস্টিনেশন গোয়া ঘুরতে যাচ্ছেন তিনি।
‘মৌ’ রোলটি নিয়ে তিনি বললেন, বাস্তব জীবনের স্বীকৃতির সঙ্গে মৌ-এর কোনও মিল নেই। একদম পুরোটাই আলাদা ব্যক্তিত্ব। মৌ যেমন সবটা মুখ বুজে সহ্য করে, পরিস্থিতির চাপে ঠিকটা জানলেও চুপ থাকতো, স্বীকৃতি কিন্তু যেখানে ভুল দেখতে পাই, মুখ না খুলে থাকতে পারি না। এরপরই রুপা গাঙ্গুলির ছেড়ে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। স্বীকৃতি বললেন, রূপাদির (গঙ্গোপাধ্যায়) কিছু ব্যক্তিগত প্রবলেম ছিল। ‘রিগ্রেসিভ কনটেন্ট’ এই শব্দবন্ধ নিয়ে তিনি বলেন, সেটার মানে তো যা ঠিক নয়, সেটাই শুধু পর্দায় দেখানো হচ্ছে।
মেয়েবেলায় যদি দেখানো হয়ে থাকে যে বউমার সঙ্গে খারাপ ব্য়বহার করা হচ্ছে, তাহলে এটাও দেখানো হয়েছে মৌ কীভাবে প্রতিবাদ করেছে। ডোডো কীভাবে মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বলছে- এটা ভুল, বউয়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ধারাবাহিক যদি টক্সিন দিয়ে থাকি, তাহলে তার অ্যান্টিডোটটাও দেওয়া হয়েছে। তাই ‘রিগ্রেসিভ কনটেন্ট’-এর তো মানেটাই এখানে দাঁড়াচ্ছে না বলে মনে হয়েছে অভিনেত্রীর। উল্লেখ্য, এরআগে শান্টু-পূর্ণার জুটি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সিরিয়ালটা অনেকদিন চলে
তবে সেখানে শান্টু-পূর্ণার একটা খুনসুটি ছিল, ঝগড়া ছিল, প্রেম ছিল। ‘খেলাঘর’-এ তাদের অনেক ইমোশন, অনেক মূহূর্ত দেখা গিয়েছে। তবে ‘মেয়েবেলা’তে কিন্তু প্রথমেই মৌঝর-এর প্রেম দেখানো হয়নি। এখানে নেই কোনওরকম প্রেম, মাখোমাখো সিন বা রোম্যান্স। তা সত্ত্বেও ‘মৌঝর’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিয়ের পরেও মৌ কিন্তু ডোডাদা-ই বলেছি। স্বীকৃতি হেসে বলেন, বিয়ের পরও ‘দা’ বাদ দিতে পারেনি। তাই এই চরিত্র অনেক আলাদা। নায়ক অর্পণ ঘোষালকে নিয়ে তিনি বলেন, অপর্ণ নিজের কাজ নিয়ে খুব সিরিয়াস। খুব ভালো ছেলে আর খুব ভালো অভিনেতা।