দুই বোনের গল্প নিয়েই ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)। সন্ধ্যা ও তারা দুই বোন। একে অপরকে খুব ভালবাসে দুজন। প্রেম বা প্রাণ, বোনের জন্য সব ত্যাগ করতে পারে দুই বোন। ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি, বোন তারা যাকে ভালোবাসত, সেই আকাশনীলের সম্বন্ধ হয় দিদি সন্ধ্যার সঙ্গে।
সন্ধ্যাও তারার মনের খবর না জানায়, আকাশনীলের ছবি দেখে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলে। তবে তারা জেনে যায় তাঁরই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে সন্ধ্যার। আর মনে প্রাণে সন্ধ্যা পছন্দ করতে শুরু করেছে আকাশনীলকে। তারা প্রেম ভেঙে দেয় দিদির কথা ভেবে। যদিও এসবের কিছুই সে জানায় না সে আকাশনীলকে। জটিলতা তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু ধারাবাহিকের গল্প এগোতে থাকে ঢিমেতালে।
কিন্তু সম্প্রীতি সত্যের মুখোমুখি হয়েছে সন্ধ্যা। ধারাবাহিকে এসেছে নতুন মোড়। সে জানতে পেরেছে তার বোন তারার গর্ভের সন্তান আকাশনীলের। দিদির সংসার না ভাঙতে গর্ভবতী অবস্থায় ঘর ছাড়ে তারা। কিন্তু তাঁর সন্তানজন্মের পর দরকার হয় পিতৃ পরিচয়ের। তাই স্বার্থপরের মত হয়ে সে ফিরে আসে দিদির সংসারে। দিদিকে জানায় তারার গর্ভের সন্তান আসলে সন্ধ্যার স্বামী আকাশনীলের।
এক নেটিজেন বলছেন,’তারা চরিত্র টাকে যতটা সন্মানের জায়গায় রেখেছিলাম, এখন আর ততটা সন্মানের জায়গায় থাকছে না। হ্যাঁ তারা ভীষণ আত্মত্যাগ করেছে, তারা ওর মেজদির জন্যে নিজের ভালোবাসা ত্যাগ করেছে। এতো কষ্ট সহ্য করেছে এবং করছে, কিন্তু তারা কি করে আকাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করল? আকাশকে বাঁচাতে আকাশের শরীর গরম করতে অন্যভাবেও করা যেত, কিন্তু শরীর গরম করতে শারীরিক সম্পর্ক করতেই হবে? মানুষ বলে, জীবন গেলে যাক, তবুও সতীত্ব নষ্ট করব না, আর ও নিজে থেকেই নিজের সতীত্ব নষ্ট করেছে।’
অন্য এক নেটিজেনের মতে, ‘সেদিনের ওই একটা ভুলে এখন তারা প্রেগন্যান্ট, এই সন্তানের কি হবে? শুধু মাত্র সন্ধ্যার ভালোবাসার জন্য এতো গুলো জীবনে দুঃখ ডেকে আনল তারা। না আছে সন্ধ্যা সুখে, না আছে তারা সুখে, না আছে আকাশ সুখে, না আছে বিজয়া মাঠান সুখে, আর না থাকবে তারার সন্তান সুখে। শুধু মাত্র সন্ধ্যার ভালোবাসার জন্য এতো গুলো জীবনে দুঃখ ডেকে আনল তারা। তাও আবার সেই ভালোবাসা, যেখানে আকাশ সন্ধ্যাকে এখনও মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে না।’