এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় একটু পিছিয়ে পড়লেও কিন্তু জমজমাট জি বাংলার (Zee Bangla ) ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। দর্শকরা এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি দেখতে ভীষণভাবে পছন্দ করছেন। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকে কিছু কিছু চরিত্রের অভিনয় ভীষণ রকম ভাবে মনমুগ্ধকর।
বাস্তবধর্মী ঘটনাকে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আর সেই কারণেই এই ধারাবাহিক শুরুর পর থেকে এমন বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই ধারাবাহিক এমন কিছু চরিত্রের অবতারণা করা হয়েছে যে চরিত্রগুলির দেখা মেলে বাস্তব জীবনে। শিমুলের স্বামী পরাগ তার দেওর পলাশ তার জা প্রতীক্ষা এমনকি শাশুড়ি মধুবালা এই প্রত্যেকটি চরিত্রই উঠে এসেছে সমাজ থেকে। প্রত্যেকটা চরিত্রই অসম্ভব রকমের ধান্দাবাজ, স্বার্থপর।
এই ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের চরম রকমের পরিবর্তন দেখে চমকে উঠেছিলেন দর্শকরা। তিনি হলেন পরাগ, পলাশের মা মধুবালা দেবী। কখনও তিনি শিমুলের ওপর গলে জল হয়ে যান। আবার পরক্ষণেই তাকে সন্দেহ করা শুরু করেন। এই যেমন কিছুদিন আগেই শিমুল পরাগের থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়ায় তিনি শিমুলের বিরোধিতা করা শুরু করেন। এরপর যখন তিনি জানতে পারেন শিমুল সেই টাকা তার মেয়ের নামে লিখে দিয়েছে আবার তিনি পাল্টি খেয়ে যান।
তবে যখন আবার পরাগ, পলাশরা ষড়যন্ত্র করে শিমুল ও তার প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রুকে চোর অপবাদ দিয়েছে তখন তিনি আবার পাল্টি খেয়ে শিমুলকে চোর ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি মুখে ভালোবাসার কথা বললেও তিনি মন থেকে শিমুলকে একেবারেই ভালবাসেন না তাকে বিশ্বাসটুকু করতে পারেন না।
তবে এই বাড়িতেই এমন একজন মানুষ রয়েছে যে শিমুল বিয়ে হয়ে আসার পর থেকে শিমুলকে একই রকম ভাবে ভালোবেসে চলেছে। আর সেটা হল পরাগ, পলাশদের মানসিক প্রতিবন্ধী দিদি পুতুল। অর্থাৎ শিমুলের নিজের ননদ। যেকোনও ঘটনায় শিমুলের পাশে প্রত্যেকটা মুহূর্তে থেকেছে এবং এখনও রয়েছে। কারণ সে মানুষের ভালোবাসাকে অন্তর দিয়ে অনুভব করে এবং কাউকে অন্তর দিয়েই ভালোবাসে।
শিমুলের জন্য তার চিন্তা, ভাবনা, কষ্ট, দুঃখ দেখে দুঃখ দেখে চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে দর্শকদের। শিমুল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তা জানার পর শিমুলের জন্য পুতুলের কষ্ট, আবেগ, কান্না দেখে আপনার চোখের জল বাঁধ ভাঙবেই। পুতুলের চরিত্রে এতটাই জীবন্ত শ্রীতমা ভট্টাচার্যর অভিনয়। একই রকম ভাবে শিমুলের তার ননদের প্রতি ভালোবাসা, আকুতি দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হয়ে গেছেন। নিজে ভীষণ রকম ভাবে কষ্ট পেলেও শিমুল যাতে মাথা উঁচু করে এই অসম্মানের বেড়া ডিঙিয়ে চলে যায় সেটাই চাইছে পুতুল।