স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’। দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম নিয়ে শুরু এই ধারাবাহিক। রাধিকা এবং পোখরাজ দুজনেরই জুটি বেশ প্রিয় দর্শকদের। এবার সেই ধারাবাহিকে এসেছে নয়া মোড়। পোখরাজ-রাধিকার জীবনে এসেছে প্রতীক। অভিনেতা প্রতীক সেনের এন্ট্রি দর্শকদের নানান চর্চার কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিক। অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে, আবার সেগুলোর উত্তরও নিজেরমতো দেয় দর্শকরাই।
উল্লেখ্য, ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে সোনামণি সাহা ‘রাধিকার’ চরিত্রে এবং সপ্তর্ষি মৌলিককে ‘পোখরাজের’ ভূমিকায়। রাধিকার পরিবারের সঙ্গে পোখরাজদের পরিবারের রেষারেষি দেখিয়েই শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকে রাধিকা আর পোখরাজের জুটি দর্শকদের বেশ প্রিয়। তবে দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম, ‘এক্কা দোক্কা’র গল্প বেশ প্রিয় হয়ে ওঠে দর্শকদের কাছে।
এরমাঝেই এবার ধারাবাহিকে অভিনেতা প্রতীক সেনের এন্ট্রি মনে প্রশ্ন আনে, তবে কি নায়ক পোখরাজ আর নায়ক থাকবে না? নাকি নায়ক তার ধারাবাহিকে সময় দিতে পারছেন না? আমরা সকলেই জানি অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক থিয়েটার করেন। তাই এবার ধারাবাহিক ছেড়ে থিয়েটারেই মন দিয়েছেন তিনি। আর তার জেরেই এক্কা দোক্কায় ডঃ গুহর চরিত্রে এসেছে প্রতীক। এরআগে দর্শকদের কাছে মোহর ধারাবাহিকের সোনামণি সাহা আর প্রতীক সেনের জুটি খুব প্রিয় ছিল।
সেসময় সকলের মুখে মুখে ঘুরতো ‘সোনাটিক’ জুটির কথা। ‘মোহর’ শেষ হওয়ার পর দর্শকের একাংশ চেয়েছিল এই মোহর জুটিকে ফের একসঙ্গে দেখতে। কিন্তু তা হয় না, ‘প্রতীক’ ‘সাহেবের চিঠি’তে কামব্যাক করেন ও ‘এক্কাদোক্কা’য় কাম ব্যাক করেন ‘সোনামণি সাহা’। ফের এক্কা দোক্কায় ডঃ গুহর চরিত্রে অভিনেতা প্রতীককে ফিরে আসতে দেখে দর্শকরা খুব খুশি হয়। একদলের দাবি, ধারাবাহিকে পোখরাজ নয়, ডক্টর গুহর সাথে মিল হোক রাধিকার। অর্থাৎ আলতা ফড়িং-এর মত এখানে পোখরাজকে খলনায়ক দেখিয়ে প্রতীক সেনকে নায়ক করে দেওয়া হোক। আবার অন্যদিকে রাধিকা-পোখরাজ জুটির ফ্যানরা এই দাবির তীব্র বিরোধিতা করছেন।
তবে এসবই দর্শকদের মনগড়া কথা। গল্পের নায়ক খোদ এসব কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, গল্পে প্রতীককে আনার কারণ জানতে হলে ধারাবাহিকটির প্রতিটি পর্ব দেখতে হবে। আর সেই কথা শুনেই এক ভক্ত তার পোস্টে অন্যান্য দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বেকার নিজেদের মনগড়া কথার উপর ভিত্তি করে এই নায়ক-নায়িকাদের টার্গেট না করতে। আর না পরিচালককে দোষারোপ করতে। গল্পের এই নতুন মোর আনার কারণ নিজেরাই খুব শীঘ্র বুঝতে পেরে যাবেন।