সুচরিতাকে সুবিচার দিল না পুলিশ‌ও! পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা দেখাচ্ছে ‘কার কাছে ক‌ই মনের কথা’

রোমাঞ্চে, উত্তেজনায় এখন জমজমাট ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । জি বাংলার পর্দায় চলা এই ধারাবাহিকটি এখন বাঙালি দর্শকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। বলাই বাহুল্য টেলিভিশন প্রেমীরা এখন মনোযোগী হয়ে এই ধারাবাহিকটি দেখে চলেছেন। এই ধারাবাহিকটি মাঝে বেঙ্গল টপার পর্যন্ত হয়েছিল। যদিও বিগত কিছু সপ্তাহ পিছিয়ে পড়ে এই ধারাবাহিকটি।তবে এই মুহূর্তে আবারও ফের একবার পিছিয়ে পড়েছে এই ধারাবাহিকটি।

বলাই বাহুল্য, এই ধারাবাহিকে পাঁচ বন্ধুর গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে চার বন্ধুর গল্প‌ই দেখানো হচ্ছে। বলাই বাহুল্য প্রায় প্রত্যেকটা চরিত্রকেই দারুণ রকমভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিপাশা, সুচরিতা, শীর্ষারা এখন প্রত্যেকেই এই ধারাবাহিকের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। শিমুলের পাশাপাশি তাদের জীবনের গল্পও এই ধারাবাহিকটিতে দেখানো হচ্ছে।

এই ধারাবাহিকে কিছুদিন আগেই দেখানো হয়েছে যে সুচরিতার পরকীয়ায় আসক্ত স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। আর তাই তার প্রেমিকাও তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর তাই মরণকালে বৌয়ের গুরুত্ব বুঝে সে ফিরে আসে। আর স্বামী ফিরে আসায় তার জন্য প্রাণপন সেবা করে সুচরিতা। কিন্তু ব্যার্থ হয়। মারা যায় সুচরিতার স্বামী।

স্বামীকে এত সেবা করার পরেও স্বামীর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তোলা হয় সুচরিতাকে। তার শ্বশুর বাড়ি দায়ী করেছে তাকেই। তার স্বামীর বিপুল সম্পত্তি যাতে তাকে না দিতে হয় তাই তার চরিত্রে দাগ লাগাতেও ভোলে না তার দেওর। এমনকি শিমুলদের সঙ্গে রিহার্সাল দিতে যাওয়ার জন্য সুচরিতার শ্বশুর বাড়ির লোকজনরা তাকে বাড়িতেও ঢুকতে দেয় না। গোটা রাত বাড়ির বাইরে কাটায় সুচরিতা। এমনকি সুচরিতার মেয়েকেও বাড়ির বাইরে বার করে দেয় তারা। অবশ্য পাড়ার লোকেরা বলতে থাকে, তারা হলেও সুচরিতার শ্বশুরবাড়ির মতোই করতো। বর মারা গিয়েছে আর বউ সঙ্গে সঙ্গে চলে গেছে ফুর্তি করতে, এটা কে মেনে নেবে?

এরপর শিমুলরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও সেখান থেকে সাহায্য পায় না। কোন উপায় না পেয়ে শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ হয় তারা। সমস্ত ঘটনাটাই তারা পুলিশকে খুলে বলে। কিন্তু পুলিশও আবার সেই পাড়ার লোকেদের মতোই আচার বিচার নিয়ম কানুন নিয়ে জ্ঞান দিতে থাকে। তারাও জর্জরিত সমাজের বদ্ধ নিয়মে। এরপর শিমুল পুলিশকে উচিত জবাব দিলে পুলিশ তাদেরকে ফেমিনিস্ট বলে। আর তারপর শুধুমাত্র কর্তব্যের খাতিরে সুচরিতাকে বাড়ির ভিতরে ঢোকানোর জন্য তাদের সাথে যাবার কথা বলেন। এই সমাজে পুলিশও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ঊর্ধ্বে নয় সেটাই দেখাচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা।