ব্রাহ্মণ-শূদ্র ভেদাভেদ নয়! ভগবান সবার! জগন্নাথ দেবের রথের রশি ছুঁয়ে রামপ্রসাদ মেটাল অস্পৃশ্যতা! সাক্ষী স্বয়ং মা কালী

স্টার জলসার পর্দায় শুরু হওয়া ভক্তিমূলক ধারাবাহিক রামপ্রসাদ ইতিমধ্যে জনমানসে দারুণ প্রভাব ফেলেছে। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের ভীষণ পছন্দ হয়েছে‌। বিশেষ করে তৎকালীন সময় এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা দর্শকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে।

এই ধারাবাহিকে সংসার ধর্ম পালন করেও মা কালীর আরাধনা করে যাওয়া শাক্ত কবি রামপ্রসাদ সেনের ‌ জীবনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাঙালির কাছে রামপ্রসাদ সেনের জীবনী এবং গুরুত্ব অপরিসীম‌। রামপ্রসাদী সুরে মাতোয়ারা কত মানুষ‌‌। আর সেই রামপ্রসাদ সেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক দর্শকদের পছন্দ হবেই তা বলা বাহুল্য।

সেই সময়কার সমাজ রামপ্রসাদ সেনের জীবনে আসা বিভিন্ন বাধা বিপত্তি এবং তা থেকে মা কালীর হাত ধরে উত্তীর্ণ হওয়া সবটাই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই ধারাবাহিকে। রামপ্রসাদ ও সর্ব্বাণীর জীবনের সবটাই জুড়ে রয়েছেন মা কালী। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁদের জীবন। মা কালীর প্রতি নিষ্ঠায়, ভক্তিতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে রামপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী সর্বাণী।

সম্প্রতি রামপ্রসাদে দেখানো হয়েছে রথযাত্রা পর্ব। আর সেখানেই মা কালী সবাইকে শিক্ষা দিয়েছেন কিভাবে ব্রাহ্মণ এবং অব্রাহ্মণদের মধ্যে ভেদাভেদ করতে নেই। আসলে সবাই মিলে রথের দড়ি ধরে টানলেও এগোচ্ছিল না রথ। সময় মা কালী ভেক ধরে গল্পোচ্ছলে বলেন, যখন জগন্নাথ দেবের মূর্তির জন্য দারু বৃক্ষ সমুদ্র থেকে কেউ তুলতে পারছিলেন না সে সময়ে শবররাজ সেই দারু বৃক্ষ সমুদ্র থেকে তুলে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন রামপ্রসাদ তোমাদের মধ্যে এমন একজন রয়েছে যে রথের দড়ি ধরে টানলে হয়তো এগোতে পারে রথের চাকা এমনটাই ইচ্ছে জগন্নাথ দেবের।

সেই সময় সর্ব্বানী বলে ওঠে, যে খঞ্জনি বাদবকে রামপ্রসাদ খুঁজে নিয়ে আসে সে যদি রথের দড়ি ধরে টানে তাহলে কেমন হয়। স্ত্রীর কথায় সেই খঞ্জনি বাদককে নিয়ে আসে রামপ্রসাদ‌। যদিও সেখানে প্রতিবাদ জানায় ব্রাহ্মণ। এবার দেখার ব্রাহ্মণ ও শূদ্রদের মাঝে এই দূরত্ব কিভাবে মেটাতে পারে রামপ্রসাদ। আসলে জাত উঁচু নিচু বলে কিছু হয় না। ভগবানের কাছে তাঁর সমস্ত সন্তান‌ই যে সমান।

You cannot copy content of this page