বৈবাহিক ধ র্ষণের মামলা করলে শিমুলের উপর অত্যাচার বেশি হতে পারে! পুলিশ মিটমাট করতে বলল! বাস্তব দেখাচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’

বাস্তবের রূপটিকে সকলের সামনে প্রত্যহ তুলে ধরছে জি বাংলার (Zee Baangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। ধারাবাহিকটিতে নেগেটিভ দৃশ্য একটু বেশি থাকলেও দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে আসল সত্যিটাই। বিয়ের পর কিছু মেয়েদের যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, তাই নায়িকা ‘শিমুল’ (Shimul) এর মাধ্যমে তুলে ধরছেন লেখক।

বিয়ের পর মনে হাজারও স্বপ্ন নিয়ে শিমুল এসেছিল তার শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু একদিনের মধ্যেই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। দেখা যায়, স্বামী পরাগ (Porag) তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালায়। দেওর তাকে বারংবার অপমান করে, অন্যদিকে শাশুড়িও তাকে প্রতি সময় খোঁটা দেয়। এমন অবস্থায় শিমুলের পাশে দাঁড়ায় তার ননদ পুতুল। যদিও পুতুল (Putul) মানসিক ভারসাম্যহীন, তাই তার কথা কোনও দাদাই পাত্তা দেয়না।

শিমুল যদিও চুপ থাকে না, সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। সময়ের সাথে সাথে শিমুলের শাশুড়ি বুঝতে পারে যে শিমুল খুবই ভালো মেয়ে, তাই শাশুড়িও তাকে আপন করে নিয়েছে। তবে স্বামীর মধ্যে কোনও পরিবর্তন আসেনি। কথায় কথায় তার গায়ে হাত তোলে, তাকে অপমান করে। এদিকে রাতে শারীরিক সম্পর্ক রাখতে জোরজবস্তি করে।

শিমুলের মনে তার স্বামীর জন্য কোনও ভালোবাসা তৈরী হয়নি। সে হয়তো এই বিয়ে থেকে মুক্তি পেতে যায়। কিন্তু স্বনির্ভর না হওয়ায় শিমুল বুঝতে পারে না সে কি করবে। এদিকে শিমুল শারীরিক সম্পর্কে নাকচ করলে শিমুলের গায়ে হাত তোলে, অত্যাচার করে পরাগ। আর তাই শেষমেশ শিমুল পুলিশের কাছে যায়। দর্শক মনে করেন, এবার হয়তো পুলিশ পরাগকে জব্দ করবে।

বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলতে লেখক এবার আসল সত্যিটাই সামনে আনে। মেয়েদের জন্য হাজারও আইন থাকলেও সেই আইনের উপর ভিত্তি করে মেয়েরা সর্বদা রেহাই পায় না। দেখা যায়, এখানেও পুলিশ শিমুলকে বলে, পুলিশ শিমুলের কথা শুনে পরাগকে শুধু ধমকাতে পারে। তাতে পরাগ পরে আরও অত্যাচার করতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৃতীয়জন এলে কোনও ঠিক মীমাংসা হয়না। ম্যারিটাল রেপ নিয়ে আসলে কেউ রিপোর্ট লেখায় না। রিপোর্ট লিখিয়েও কোনও লাভ হয় না। বাস্তবের সত্যটাই দর্শকদের সামনে তুলে ধরল এই মেগা।

Back to top button