তীব্ৰ সংঙ্কটময় মুহূর্তে সেনগুপ্ত বাড়ি ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দীপা। স্টার জলসা (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) জমে উঠেছে দীপার বাহাদুরির বেনজির উদাহরণ দেখে। পারিজাত সেন আর মিস্টার কুমারের হাত থেকে বাড়ি ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে দীপা।অন্যদিকে, সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে কাকাইকেও জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছে সে। কিন্তু কাকীয়া আর জয়ের মনের সন্দেহ কিছুতেই মিটছে না।
বিপদসংকুল পরিস্থিতিতেও সেনগুপ্ত পরিবারের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে চলছে চাপানোতর। কাকীয়ার ধারণা এসব দীপা নাকি এসব তার মেয়ের জন্য করছে। সেনগুপ্ত বাড়ি বিক্রি করে টাকা নিতে চায় সে। যদিও লাবণ্য আর প্রবীর চান সে যেন রূপার চিকিৎসার টাকা যে করেই হোক জোগাড় করে। এদিকে, বাবা-মা তাকে যথেচ্ছ বিশ্বাস করে না বলে মনে করে জয়। দীপার সঙ্গে তাই অদৃশ্য তুলনা বারবার সে করে চলেছে।
সেনগুপ্ত বাড়ির অন্দরে এহেন পরিস্থিতি। এদিকে, হঠকারিতায় ভিক্টরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পস্তাচ্ছে তিস্তা। ভিক্টর তার উপর মানসিক আর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছে। গরম কফি ছুঁড়ে মারার সঙ্গে সঙ্গে চলছে ধমক। রীতিমতো, আতঙ্কে থাকছে তিস্তা।
সেনগুপ্ত বাড়ির দুর্দশার কথা জানে ভিক্টর আর পৃথা। তাদের পাশে দাঁড়ানোতো দূর অস্ত। দীপার তৎপরতায় যখন সবকিছু ঠিক হয়ে চলেছে তখনই তিস্তাকে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়িতে হাজির হয় ভিক্টর। উদ্দেশ্য একটাই তিস্তার প্রাপ্য বুঝে নেওয়া। কারণ, তবেই তিস্তাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য সফল হবে।
ধারাবাহিকের এদিনের এপিসোডের শেষে থাকবে টান টান পর্ব। অর্জুন আর দীপার সম্পর্ক নিয়ে এবার কটাক্ষ করবে জয়। কারণ একটাই। এতসব কিছুর মধ্যে দীপা কেন জয়কে সঙ্গে নিচ্ছে না! কাকিয়া সকলের সামনে সাফ জানিয়েছিল, দীপা নিজ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যেই সেনগুপ্ত বাড়ির পাশে। দীপা টাকার জন্য নাকি সব করতে পারে। একথা শুনে বাড়ির সকলের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। দীপা জানায় সে টাকার জন্য নয়। নিজের মেয়ের জীবন বাঁচাতে সব করতে পারে।