‘সিরিয়ালের দৃশ্য উঠল প্রেমের জোয়ার!’ প্রেমের সাগরে ভাসল আঁখি-দেবা, চূড়ান্ত রোম্যান্টিক পর্ব আসছে

অবশেষে সম্পর্কে উঠল প্রেমের জোয়ার। শীতের এই মরশুমে আবেগঘন ভালোবাসার মুহূর্ত সৃষ্টি হল ধারাবাহিকের দৃশ্যে। বর্তমানে বিভিন্ন ধারাবাহিকের তালিকায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য মেগা ‘দুই শালিক’ এখন জমে ওঠেছে। এই সিরিয়ালকে কেন্দ্র করে দর্শকদের কাছে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন উত্তেজনা। এই সিরিয়াল (Serial) এখন দেখা যাচ্ছে দেবার সঙ্গে বিয়ে হয়ে গিয়েছে আঁখির, আর সেই নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে যত ঝামেলা।

অন্যদিকে আবার ঝিলিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে গৌরবের, এরা দুজনও একে অপরকে ডিভোর্স দিতে চাইছে। বর্তমানে সিরিয়ালের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে দেবা এবং আখি দুজনে কথা বলতে থাকে। এই কথোপকথনে আঁখি দেবাকে বলে, “তুমি তো খুব ভালো করেই জানো, আমি এই জুডো খেলতে পারি না তাও তুমি আমায় কেন বিপদে ফেলতে চাইছিলে?” উত্তরে দেবে বলে “তুমি যখন আমার সামনে থাকো আমার তখন খুব রাগ হয়”। এর সঙ্গে দেবা এও বলে, “যখন তুমি আমার দূরে চলে যাও, আমার খুব কষ্ট হয় কেন জানিনা আমার সাথে এরকম হচ্ছে?”

Arkaprovo

এই কথার মাধ্যমে আঁখি মনে মনে বুঝতে পারে যে দেবাও তাকে ভালোবাসে। এরপর দেখা যায় দেবা বাড়ি চলে যায় এবং আঁখিকে জড়িয়ে ধরে। এরপর এদের মধ্যে রোমান্স চলতে থাকে। অন্যদিকে দেখতে পাওয়া যায়, পিয়ার কে ভাবে আঁখিকে দিয়ে যেভাবেই হোক সো এইটা করিয়ে নিতে হবে তাহলেই টাকা পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে পিয়ার কে এটাও ভাবার চেষ্টা করছে যে, অফিসে প্রেজেন্টেশনে কে এইভাবে বাধা দিতে চেয়েছে?। এর মধ্যেই চলে এসেছে আবার জেঠু মেনি তার ভাইয়ের থেকে সাহায্য চাইতে। পিয়ার কে’র থেকে থেকে জেঠুমনি সাহায্য চাওয়ায় তাকে না বলে দেয়, আর বলে দেয় “তোমায় হোমেও লাগে না যোগ্যেও লাগে না”। এইসব কথা আড়াল থেকে শুনতে পাচ্ছিলো ঝিলিক।

পিয়ার কে বিরক্ত হয়ে বলে কি হয়েছে? তখন জেঠুমনি বলে ওঠে “আমাকে একটু টাকা দিয়ে সাহায্য কর, তোর বৌদির অবস্থা ভালো না আমায় একটু টাকা দিয়ে সাহায্য কর”। ইয়ার্কি তখন বলে দুই বা পাঁচশো টাকা হলে বলেন নইলে তোমায় লাখ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারব না। এরপর পিয়ার কে বুদ্ধি অনুযায়ী একটি ফোন দিয়ে এঁটে ফেলে, জেঠুমনিকে বলে তুমি যদি বুদ্ধি করে একটা কাজ আঁখিকে দিয়ে করাতে পারো তাহলে সেটা সম্ভব”। এরপর পিয়ারের সঙ্গে ঝিলিকের তর্কবিতর্ক হওয়ায় ঝিলিক বলে জেঠুমণি আপনি এখান থেকে চলে যান।

এরপর ঝিলিক নানা প্রশ্ন বান ছুড়ে দিতে থাকে পিয়ার কে স্যারের দিকে। এইসব শুনে পিয়ারকে বলে, ” তুই এত সব জানলি কোথা থেকে?”। এর মধ্যে ঝিলিক বলে ওঠে আমার বাবার নাম অনিমেষ রায়। এমনকি ঝিলিক তার সংশয়ের কথাও জানায় যে, সে মনে করে পিয়ারকে-র অফিসে তার বাবা কর্মচারী ছিল না, উল্টে বাবার অফিসে পিয়ারকে কর্মচারী ছিল। এরপর ঝিলিক বলে টাকার ব্যবস্থা সাথে সাথে আমি আপনার মুখোশ খোলারও ব্যবস্থা করব।

আরও পড়ুনঃ ভরা পৌষে বিয়ে সারলেন অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্য! লাল শাড়িতে বিয়ের আসরে অপরূপা তিনি

অন্যদিকে আবার দেখা যায় আঁখি তার ছোট্ট কুঁড়েঘর কে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে বলে দেবা বলছে তাঁর ঘরের ভোল পাল্টে গেছে, খুশি হয় দেবা। আবার অন্য দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে ঝিলিক মনে করে আঁখি এবং দেবার জীবনে কোনো ঝড় আসতে দেবে না। আঁখির বাবা মায়ের পরিচয় সেই ঠিক খুঁজে বার করবে। অবশেষে এই এপিসোডের শেষে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এখনো আঁখি এবং ঝিলিক জানেনা তারা একে অপরের বোন।