সাংঘাতিক অশান্তির মধ্যে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল স্বতন্ত্র! বৌঠানের থেকে আলাদা হওয়ার পথ বেছে নিল নতুন! তবে, কী এবার বাধ্য হয়ে কমলিনী চাঁদুর সঙ্গে সংসার করবে?

পুরো সমাজের সামনে নিজের ভালোবাসা অস্বীকার করলেও স্বতন্ত্রর কাছে কমলিনী অকপটে স্বীকার করলো ভালোবাসা। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বতে দেখা যাবে, সকালবেলা হতেই বারান্দায় মুখোমুখি হয়েছে কমলিনী-স্বতন্ত্র।

নতুন তার বৌঠানকে অনেক ভাবে চাঁদুর সঙ্গে বিয়ে করা নিয়ে রাজি করাতে চাইলেও কমলিনী নারাজ। এদিকে স্বতন্ত্র কমলিনীকে বলে আজ সেই বিয়েতে রাজি হচ্ছে না বলে তাঁকে এ বাড়িতে অনেক কথা শুনতে হচ্ছে।

এরপর, কথায় কমলিনী বলে সে এই বাড়ি থেকে চলে গেলে তাঁর (স্বতন্ত্র) কাছে ঠাঁই নেবে না। এমনটা শোনা মাত্রই স্বতন্ত্র মনে খুব দুঃখ পায়। এদিকে, কমলিনি বলে আজকের কমলিনী আর আগের কমলিনীর মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এরপর, কমলিনী তাকে বলে সে একমাত্র এখন স্বতন্ত্রকেই ভালোবাসে।

কমলিনী স্পষ্ট ভাবে তাকে জানিয়ে দেয়, কেউ যদি আরেক জনকে মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে তাহলে অন্য কাউকে আর ভালোবাসা যায় না। বর্তমানে কমলিনী শুধুমাত্র স্বতন্ত্রকেই ভালোবাসে। এরপর স্বতন্ত্র একটা সাংঘাতিক কথা বলে দেয় কমলিনীকে যা শুনে অবাক হয়ে যায়।

এরপর স্বতন্ত্র কমলিনীকে জানায়, আজ সে যদি চাঁদুকে গ্রহণ করে সংসার করে তাহলে স্বতন্ত্র নিজে থেকে ডলকে বিয়ে করবে। এই কথা শোনার পর কমলিনী মনের সাংঘাতিক আঘাত পায়। এরপরেই, কমলিনী চলে যায় আর স্বতন্ত্র কান্নায় ভেঙে পড়ে। এমন সময় নতুন মনে মনে বলতে থাকে তার জীবনে কমলিনী ছাড়া আর কেউ নেই।

এরপর নিচে গিয়ে কমলিনী দেখে কুর্চি, তাঁর শাশুড়ি এবং বর্ষা মিলে রান্না করছে। তাঁদের কথা অনুযায়ী কেউ আর কমলিনীর হাতের রান্না খাবে না। এরপর, কুর্চি বলে সে আজ যে ব্যবহারটা করছে তা বড়োই অপ্রত্যাশিত, কেউ তা মেনে নেবে না। এরপর, কমলিনী তাদের থেকে জানতে চায় তবে কী তাঁরা তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলছে?

আরও পড়ুনঃ আজও বাবার কথা মনে করে ছেলে ওশ! কিন্তু কাঞ্চনের দাবি, শুধুমাত্র কন্যা সন্তানের বাবা সে! “আমি স্যাক্রিফাইস করি, কম্প্রোমাইজ না!” “বোধ না তৈরি হলে মানুষ হওয়া যায় না”— বাবার স্মৃতি ভুলিয়ে, ছেলেকে কীভাবে বড় করছেন জানালেন পিঙ্কি!

ছেলে মেয়েরাও এদিক থেকে বলতে থাকছে যে মাকে এতদিন চিন্তা এখন আর চিনতে পারছে না।। এত সবকিছুর মাঝে স্বতন্ত্রের নিচে এসে সকলকে জানাই সে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। এই শুনে অবাক হয়ে যায় কমলিনী।