সময় বদলেছে, জীবনের মোড়ও ঘুরেছে। কেউ নতুন সম্পর্ককে আপন করে পেয়েছেন স্থায়িত্ব, কেউ আবার পুরনো স্মৃতিতে ভর করেই খুঁজে পেয়েছেন বাঁচার মানে। তবে অভিনেত্রী ‘পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Pinky Bannerjee) যেন একটু আলাদা চিন্তাধারায় বিশ্বাসী। শাসকদলের বিধায়ক ও অভিনেতা ‘কাঞ্চন মল্লিক’ (Kanchan Mullick) তথা পিঙ্কির প্রাক্তন স্বামী, বর্তমানে ‘শ্রীময়ী চট্টরাজ’ (Sreemoyee Chattoraj) ও কন্যা কৃষভি (Krishvi)-র সঙ্গে শুরু করেছেন নতুন জীবন। অন্যদিকে পিঙ্কি নিজের ছেলে ওকে (Osh) নিয়ে নিভৃতে, তবে আজও কী ছেলের বাবার কথা মনে পড়ে?
পিঙ্কিকে এদিন এক সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন করা হয়, একাধারে তিনি একজন মা, অভিনেত্রী এবং নারী, সেই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কিভাবে জীবনটাকে দেখেন? তিনি বলেন,”জীবনে কোনও কিছুই আমার ‘অতি’ পছন্দ নয়। আমি গৌতম বুদ্ধের নীতিতে বিশ্বাসী, জীবনে সবকিছু করব কিন্তু অতি মাত্রায় না! আমি কখনও স্যাক্রিফাইস করতে পিছিয়ে আসি না কিন্তু কম্প্রোমাইজের একটা সীমা থাকা দরকার, এক্ষেত্রে দুটো জিনিস আলাদা। তোমায় বুঝতে হবে কখন সেই ত্যাগের মাত্রা সীমা ছাড়াচ্ছে, তখনই পিছিয়ে আসতে হবে।” এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এই যে বিবাহ বিচ্ছেদ সিদ্ধান্ত, সেটা মূলত কোন দিক দিয়ে এসেছিল?
এই নিয়ে তাঁর কী মতামত? উত্তরে পিঙ্কি হেসে বলেন, “একটা সময়ের পর জানতাম এমন কিছু হতে চলেছে আসলে সিদ্ধান্তটা মানুষ না, সময় নেয়। যদিও আমার ক্ষেত্রে ডিভোর্স পেপারটা উল্টো দিক থেকেই এসেছিল। তবে বলব যা হয় সেটা ভালোর জন্যই হয়।” সম্প্রতি চলে গিয়েছে পিতৃ দিবস, ওশ নিজের বাবাকে খুব ভালোবাসত। সেই দিক থেকে কি ওশ বাবার কথা আজও মনে করে? অভিনেত্রীর উত্তর,”যেহেতু শুরু থেকেই আমার ছেলে সবটা জানে তাই ওর সত্যিটা মেনে নিতে কষ্ট হয় না।”
জীবনে অনেক শিক্ষা পেয়েছেন, সেই শিক্ষায় ভর করে ওশকে কিভাবে বড় করছেন পিঙ্কি? অভিনেত্রী বলেন, “বয়সের সাথে বাচ্চাদের বুদ্ধি হয়েই যায়, কিন্তু বোধ তৈরি করাটা সবচেয়ে আগে। বোধ তৈরি না করলে মানুষ হওয়া যায় না! বড় হওয়ার পর সেটা কোনও ভাবেই তৈরি হওয়া সম্ভব না। আমাদের অবচেতন মন সবসময় সতর্ক করে খারাপ জিনিস থেকে। মনের সেই কথাগুলো অনেকেই শুনতে পান না, তখন খারাপ সঙ্গ তার বোধকে প্রভাবিত করে। ফলে এক নয়, একাধিক জীবন নষ্ট হয়।”
আরও পড়ুনঃ বাংলা সংগীতজগতের সেই ‘আধুনিক গানের সুচিত্রা’ আজ আর নেই! ৬০০০-এর বেশি গান তাঁর কণ্ঠে, ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে চলে গেলেন স্বর্ণযুগের সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেন!
বাকি জীবনটা বাঁচার জন্য কাকে সবচেয়ে বেশি দরকার পিঙ্কির? কাকে ছাড়া জীবন অসম্ভব? এই প্রশ্নের জবাবে তাঁর বক্তব্য অনেকের মনে দাগ কেটেছে। তাঁর কথায়, “জীবনের জন্য যদি কাউকে দরকার হয়, সেটা নিজেই। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের পাশে থাকা— এটাই সবচেয়ে জরুরি। সন্তান, আত্মীয়, সবাই পাশে থাকে, কিন্তু দিনের শেষে নিজেকে ছাড়া কেউ স্থায়ী নয়।” এই স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য অনেকেই তাঁর মানসিক দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।
আজও বাবার কথা মনে করে ছেলে ওশ! কিন্তু কাঞ্চনের দাবি, শুধুমাত্র কন্যা সন্তানের বাবা সে! “আমি স্যাক্রিফাইস করি, কম্প্রোমাইজ না!” “বোধ না তৈরি হলে মানুষ হওয়া যায় না”— বাবার স্মৃতি ভুলিয়ে, ছেলেকে কীভাবে বড় করছেন জানালেন পিঙ্কি!