এতদিনে স্বতন্ত্র নিজের থেকে ডলকে বিয়ের প্রস্তাব দিল। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, চাঁদুর সেই গোপন চিঠি কমলিনী সকলের সামনে পরার পর চন্দ্র তা সকলের কাছে এই চিঠি নিয়ে সংশয় সবার মন থেকে মুছে দেয়। কিন্তু, তাও কমলিনী খুব একটা স্বস্তি পায় না। এমন সময়, কমলিনীর কাকামনি তাঁকে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই চিঠি পরীক্ষা করাতে বললে চাঁদু হঠাৎই ভীষণ রেগে যায়।
এমন সময়, কমলিনী বাবা-মা চাঁদুর রাগ কমালেও কমলিনীকে সবাই আবার বলতে শুরু করে সে যেনো এই বাড়িতে থেকে যায়। এদিকে, কমলিনী সবার কথাকে মান্যতা দিয়ে বলে সে এই বাড়িতে থেকে যাবে কিন্তু তাঁর একটা শর্ত আছে। কমলিনী বলে, আগামী দিনে যদি প্রমাণ হয় চাঁদুর এই চিঠি সত্যি তাহলে সেই মুহূর্ত থেকে তাদের এই বৈবাহিক সম্পর্কর আর কোনো মূল্য থাকবে না।
এরপর, চারু কথা দেয় আগামী দিনে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে তারা একে অপরকে বুঝিয়ে মানিয়ে নেবে। এরপর, দেখা যায় পরের তিন স্বতন্ত্র হাজির হয়েছি তার দাদার বাড়িতে। ওই বাড়িতে যেতেই তাঁকে
কমলিনীকে নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এমন সময়, কথায় কথায় নতুন বলে সেই বিয়ে করতে চায়। এই শুনে অনন্যা খুব খুশি হয়ে যায়।
নতুন আরও বলে, যদি ডলের কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে সে তাঁকে বিয়ে করতে পারে। এমন কথা শুনে ডলও খুশি হলে পরেই আবার জিজ্ঞাসা করে এটা নতুনদা কোনো ঝোঁকের বশে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নাতো? স্বতন্ত্র বলে সেই যদি একবার কাউকে কথা দেয় সেই কথা আর ফিরায় না তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে ডলকে বিয়ে করবে। স্বতন্ত্র বলে, তাঁর আর সেই বয়স নেই যে ধুমধাম করে বিয়ে করবে তাই রেজিস্ট্রি করেই বিয়ে করতে চায়।
এদিকে, সর্বজিৎ তাঁর ভাইয়ের কথা শুনে অবাক হয়ে যায় আর বারেবারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে সে কেন এই বয়সে এসে বিয়ে করতে চাইছে? এরপর, অনন্যা ডলকে নিয়ে মিষ্টি আনতে গেলে সর্বজিৎ স্বতন্ত্রকে ভিন্ন প্রশ্ন করে আর সেই সবকিছুর উত্তর অকপটভাবে তাঁর দাদাকে বলে। স্বতন্ত্র এই বিয়েটা করতে চায় কারণ, যাতে তাঁর বৌঠান চাঁদুর সঙ্গে ভালো করে সংসার করে সেই জন্য।
আরও পড়ুনঃ “ভূতের চরিত্র না হলে ডাক পড়ত না” “শিবুকে বলেছিলাম, ছবিতে কাজ না দিলে প্রিমিয়ারেও যাব না!”—শিবপ্রসাদের নতুন ছবিতে সুযোগ পেয়ে পুরনো অভিমান উগরে দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা!
এরপর পরে তুমি সকালবেলায় দেখা যায় স্বতন্ত্র কোয়াটারে হাজির হয়েছে কমলিনী। কমলিনী তাঁর বিয়ের জন্য অনেক গয়না এনেছে, যা একদিন স্বতন্ত্রই তাকে উপহার দিয়েছিল। কমলিনী বলে, এই গয়নাগুলো ছাড়া তার কাছে আর কিছুই নেই নতুনের বউকে দেওয়ার জন্য।