বর্ষীয়ান হলেও প্রাণচঞ্চলতা একটুও কমেনি ‘অনামিকা সাহা’র (Anamika Saha)। ঝমঝমে বৃষ্টি, পাহাড়ি অন্ধকার, জোঁকে ভর্তি জঙ্গল— এমন এক পরিবেশে রাত ২টো পর্যন্ত শুটিং করতে হল তাঁকে। লাভার জঙ্গলের বুক চিরে চলেছে ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ (Bhanupriya Bhooter Hotel) ছবির শুটিং, আর সেখানেই অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করছেন বাংলার বড় পর্দার প্রিয় ‘বিন্দু মাসি’। অতীতের সব চরিত্র ভুলে গিয়ে, একেবারে ভিন্ন স্বাদের এক ভূতের ছবিতে তাঁকে দেখতে চলেছেন দর্শক। তবে ভূত তিনি নিজেই? না কি কারও শিকার? সে বিষয়ে মুখে কুলুপ অভিনেত্রীর।
এই প্রথম বার উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার ছবিতে কাজ করছেন অনামিকা। দীর্ঘদিনের অভিমান ভেঙে অবশেষে ডাক এসেছিল, পেয়েছিলেন সেই কাঙ্ক্ষিত ফোন। স্মৃতির পাতা ওলটাতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, বহু বছর আগে শিবপ্রসাদের সঙ্গে এক ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি, তখন শিবপ্রসাদ অনেক ছোট। সেই থেকেই একরকম না বলা সম্পর্ক। একটার পর একটা ছবির স্ক্রিনিংয়ে আমন্ত্রণ পেয়েছেন, গিয়েছেনও। কিন্তু অভিনয়ের ডাক আসেনি। অবশেষে অভিমানে শিবপ্রসাদকে বলে বসেছিলেন, “আমায় তোমাদের ছবিতে না নিলে, আর ডেকো না!”
কিছু মাস পরেই প্রযোজনা সংস্থা যোগাযোগ করে এবং এই ছবির জন্য তাঁকে নির্বাচন করে। ছবির পরিবেশ যতটা রহস্যময়, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাও ততটাই থ্রিলিং। অনামিকার কথায়, “রাত তখন গভীর, চারদিকে শুধু ঝিঁঝিঁর ডাক, পাহাড়ি নির্জনতা আর অবিরাম বৃষ্টি। শ্যুটিংয়ের মাঝখানে জোঁক লেগে যাচ্ছে পায়ে! সবাই নুনের পুঁটুলি নিয়ে হাজির।” এই সমস্ত কষ্টকে সযত্নে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী। শ্যুটিং চলার সময় কখন যে রাত গড়িয়ে ভোর হয়ে যায়, টেরই পান না তিনি।
দৃশ্যের পর দৃশ্য ধরে সেই ভূতের গল্পকে বাস্তব করে তোলার চেষ্টায় আছেন ইউনিটের সকলেই। চরিত্র সম্পর্কে খুব বেশি কিছু না বললেও, অনামিকা এতটুকু ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এই চরিত্রটি একেবারেই ভিন্ন। এমন কিছু তিনি আগে করেননি। দর্শকের মনে সহানুভূতি জাগাবে, এমন একটা দায়িত্বপূর্ণ চরিত্র তাঁর কাঁধে। এই মুহূর্তে তিনি যত না অভিনয় করছেন, তার চেয়ে বেশি উপভোগ করছেন। বলছেন, “এ যেন আবার ফিরে যাওয়া পুরনো দিনে, যখন আমরা সবাই মিলে একটা পরিবার হয়ে কাজ করতাম।”
আরও পড়ুনঃ টেলিপাড়ার সদ্য স্কুল পাশ ‘আদুরে নায়িকা’র গোপন প্রেমকাহিনির পর্দা ফাঁস! নিজের প্রশিক্ষকের প্রেমেই হাবুডুবু নায়িকা! কে সেই নায়িকা বুঝতে পারছেন ?
এটি শুধুমাত্র একটা ভূতের ছবি নয়, বরং এখানে আছে হালকা হাস্যরস, সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং অজানা রহস্যের ছায়া। পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় এবং নন্দিতা-শিবপ্রসাদের নিবেদন, সব মিলিয়ে এই প্রজেক্ট নিয়ে দারুণ আশাবাদী অনামিকা সাহা। তাঁর মতে, এই ধরনের গল্পই এখন দর্শকের দরকার, যেখানে বিনোদনের সঙ্গে সঙ্গে থাকছে অন্যরকম স্বাদ। আর সেই গল্পে তাঁর নিজের জায়গাটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ধীরে ধীরে সামনে আসবেই।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।