শুভর সঙ্গে মোহনার চলছে অদৃশ্য লড়াই! আদির স্মৃতি ফেরাতে মরিয়া শুভলক্ষী! আদৌ কী ফিরবে আদৃতের স্মৃতি?

শুভলক্ষী ফিরে পাবে কাকে? আয়ান নাকি আদৃতকে? স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিক চলছে এখন টানটান উত্তেজনা। আদির স্মৃতি ফেরানোর লড়াইয়ে উঠে পড়ে লেগেছে রায় পরিবার। ইতিমধ্যেই, আদি, রূপক ও সমিত চলে এসেছে নদীয়ায়। এই সিরিয়ালের আজকের পর্বে দেখা যাবে, শুভ দেশে পা রাখা মাত্রই মনে মনে ভাবছে এক সময় আদি তাকে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে গেছিল আজ সে এসেছে আদির স্মৃতি ফিরিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য।

এমন সময় শুভ একটা গাড়িতে ওঠে, তখনই সেই একই গাড়িতে ওঠে মোহনা। এরপর, দুজনের গন্তব্য যখন একই দিকে তাঁরা সেই গাড়িটা করেই পৌঁছে যায় জাগ্রত এক মন্দিরে। গাড়িতে যাওয়ার সময় মোহনা মনে মনে ভাবে, ‘সে কোনমতেই আয়ানের এত বড় ক্ষতি হতে দেবে না। শুভকে তার কাজে কখনোই সফল হতে দেওয়া যাবেনা’। অপরপ্রান্তে, শুভ মনে মনে ভাবে মোহনা দেশে যে কাজেই আসুক না কেন আদির স্মৃতি সে ফেরাবে। কোনো শক্তি তাকে আজ আটকাতে পারবেনা।

গৃহপ্রবেশ, Grihoprobesh, star jalsha, স্টার জলসা

অন্যদিকে দেখা যায়, সমিতরা পৌঁছে গেছে হাই ওয়েটিং সেখানে গিয়ে ডাক্তার আদির সঙ্গে আলোচনা করছে কীভাবে তাঁর স্মৃতি ফেরানো যায়। এমন সময় আদি মনে মনে ভাবে, ‘সে শুভ লক্ষীকে দেওয়া কথা রাখবে। সমস্ত স্মৃতি ফিরে এলে আদি তার মনের কথা শুভকে বলবে’। এরপর, সবাই গাড়িতে উঠে সেই রাস্তা দিয়েই যেতে থাকে, যে রাস্তায় একসময় আদি গাড়ি চালিয়ে এয়ারপোর্টের দিকে যাচ্ছিল।

এদিকে আবার দেখা যায়, মন্দিরে পৌঁছে মোহনা এবং শুভ আদৃতের নামে নিজেদের মনোকামনা জানিয়ে পুজো দেয়। দুজনেই দুজনের মতো করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানায়। একজন চাই, আদির যেনো আজি সমস্ত স্মৃতি ফিরে আসে। আবার, আরেকজন চায় আই এম যেন চিরকাল তার কাছে থাকে। পুজোর পরে ওই মন্দিরের পুরোহিত মশাই শুভকে দেখে বলে তাদের জুটি যেন কেউ কখনো না ভাঙতে পারে। এই শুনে শুভ মনে আরো জোর পেয়ে যায় আর বলে, আজ সে যেভাবেই হোক আদি স্মৃতি ফেরাবেই। কিন্তু অনবরত মোহনা শুভকে বাধা দিতে থাকে তার কাজে।

এরপর দেখা যায়, আদি গাড়িতে যেতে যেতে ছোট ছোট অনেক মুহূর্তের কথা ডাক্তারকে বলতে থাকে। এমন সময় স্মৃতিতে ভেসে আসা এক পেট্রোল পাম্প দেখে গাড়িটা দাঁড় করায়। এমন সময় সেখানে দাঁড়িয়ে আছি খুব মনে করতে থাকে তাকে কেউ একজন ফোন করেছিল। অনেক চেষ্টা করে সে বলে শুভ তাকে ফোন করেছিল। এরপর আবার গাড়িতে উঠে চলতে থাকে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যেখানে অনেক জঙ্গল আছে সেখানে নেমেই আরো অনেক কিছু মনে করার চেষ্টা করতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ “মা যা বলেন, ঠিক বলেন”, “আজকের যুগে মায়ের মতো সোজা কথা বলা লোকেরই দরকার, বর্তমান যুগে অনুশাসনের ভীষণ প্রয়োজন!”—মমতা শঙ্করের স্পষ্টভাষী মনোভাবেই গর্বিত ছেলে রাতুল শঙ্কর!

এমন সময় মোহনা সেই স্থানে এসে পৌঁছায় আর ডাক্তার-রূপকের সঙ্গে তর্ক করতে থাকে। কিন্তু অন্যদিকে আপন মনে জঙ্গলের দিকে এগোতে থাকে আদি। আর, সেই সময়তেই দুর্ঘটনার পুরোনো আবৃত্তি হটাতে পিছন থেকে শুভ তাকে লাঠি দিয়ে মারতে গেলেই হঠাৎই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুকিয়ে পড়ে আদি।