জিনিয়া যেনো লুডোর ঘুঁটির মতো সবাইকে নিয়ে খেলছে। আর, জিনিয়ার পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ার জন্যই আর রায় পরিবারে এতো অশান্তি। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ সিরিয়ালে আজকের এপিসোডে দেখা যাবে, তুলকালাম ঝামেলার পরের দিন শুভ সকালবেলা শাড়ি পরে এসেছে ঠাকুর ঘরে আর সঙ্গে এনেছে আদৃতকে।
এরপর, শুভ আদিকে দিয়ে ভগবানের সামনে প্রদীপের আগুনকে সাক্ষী রেখে প্রতিজ্ঞা করায় যে, সে যেনো কোনোরকম পরিস্থিতেই শুভকে যেনো মিথ্যে কথা না বলে। এরপর, ভগবানের কাছে প্রাথনা করার সময় ভুলবশত আদির হাত লেগে প্রদীপটা পরে যায় আর নিভে যায়। প্রদীপ নিভে যাওয়া অশুভ, এই দেখে চিন্তা করে শুভ আর মনে মনে ভাবে তাহলে কী তাঁদের মধ্যে ঝামেলা কোনোদিন মিটবে না?
এরপর, ব্রেকফাস্টের টেবিলে সবাই ব্রেকফাস্ট করার সময় মেজো কাম্মা সেবন্তীকে বলে, সে নাকি দেখেছে আদিকে শুভ টানতে টানতে ঠাকুর ঘরে নিয়ে গেছে। আর, এই বলতে না বলতেই দুজনে হাত ধরে এসে হাজির হয় খাওয়ার টেবিলে। এরপর, চুপিচুপি রূপস আদিকে গত রাতের কথা জিজ্ঞাসা করতেই বলে, অনেক কষ্ট করে শুভর রাগ ভেঙেছে। এরপর, আদি তাঁর ছোটো কাম্মাকে তাঁর নাচের স্কুলের ব্যাপারে নানা কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে।
সেবন্তী, ঠাকুমা আর বাড়ির সবাই তাঁদের সম্পর্কটা আগের মতো ঠিক হচ্ছে দেখে কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করে। এরপর, শুভকে সবার থেকে আলাদা দেখে নিয়ে গিয়ে আদি জানায় তাঁকে সে একটা উপহার দিতে চায়। অন্যদিকে, দেখা যায় আকাশের জন্মদিন উপলক্ষে মোহনা তাঁর ঘরে সকাল সকাল এসে এক তোরা ফুল দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।
আরও পড়ুনঃ “আমি বাঙালি”, যে ভাষা জানিনা তাতে গান গাইতে পারব না! দর্শকদের ভোজপুরি গানের আবদার শুনে স্পষ্টকথা রত্নপ্রিয়ার!
আকাশ, মোহনার এই রূপ দেখে অনেক খুশি হয় আর ভাবে, আগের দিন তাঁকে এতটা অস্থির দেখেছে আজ এতো শান্ত দেখেও ভালো লাগছে। এরপর, ভাই-বোন দুজনেই ছোটবেলার নানা স্মৃতিচারণা করতে শুরু করে দেয়। মোহনা বলে, সে আজ তাঁর জন্মদিনটা খুব ভালোভাবে পালন করবে। এমন সময়, আকাশ উপহার স্বরূপ মোহনার থেকে তাঁর সমস্ত পুরোনো স্মৃতিকে ভুলে গিয়ে আগামীর দিকে এগিয়ে গেলেই তাঁর গিফট পাওয়া হবে।
এরপর, দাদার জন্মদিন পালন করবে বলে একটা ক্যাফেতে গেছে কেক কিনতে আর এমন সময় দেখা হয় জিনিয়ার সঙ্গে। জিনিয়া মোহনার থেকে জানতে পারে, আজ আকাশের জন্মদিন। এই শোনা মাত্রই তাঁর মাথায় খেলে গেলো এক দুস্টু বুদ্ধি। জিনিয়া ইচ্ছা করেই সেই ক্যাফে থেকেই কিছু উপহার আর কার্ড নিয়ে শুভর নামে আকাশের জন্য কেনে, যাতে ইচ্ছা করে এই ব্যাপারটা নিয়ে সকলের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে, দেখা যায় আদি গেছে শাড়ির দোকানে শুভর জন্য শাড়ি কিনতে। একটা গোলাপি রঙের শাড়ি পছন্দ করেছে শুভর জন্য আর ভাবে এটা তাঁকে পড়লে খুব মানাবে। এমন সময়, দোকানে এসে পরে মোহনাও। আদি শাড়ি কিনছে দেখে সে ভাবে, আয়ান তাঁর জন্য শাড়ি কিনছে। এদিকে আদি যে এই শাড়িটা শুভর জন্য কিনছে তা কিছুতেই মুখের ওপর বলতে পারলো না মোহনাকে। এদিকে তো শাড়িটার ফটো তুলে শুভকে পাঠিয়ে দিয়েছে আদি। এমন সময় মনে মনে ভাবে সে তাহলে কীকরে খালি হাতে বাড়ি যাবে? কিন্তু এদিকে আবার শুভ আদিকে মেসেজ করে বলেছে তার কিনা শাড়িটা পড়েই আজ সন্ধ্যেবেলা বেরোবে আগের মতো।
“একমাত্র গান দিয়েই স’ন্ত্রাস’বাদ থামানো সম্ভব!” বক্তা রূপঙ্কর! ‘পহেলগাঁওতে যদি সেদিন আপনার প্যান্ট খুলে কেউ চেক করত, তখন ঠিক কোন গানটা শোনাতেন?’ ‘ওনাকে এক্ষুনি গিটার সমেত বর্ডারে পাঠানো হোক!’ কটাক্ষে ধুয়ে দিল নেটপাড়া