বাড়ির ছেলে বাড়িতে ফিরেছে, আর তাই পরিবারের সদস্যদের আনন্দ তো হবেই। কিন্তু, আনন্দের সাথে সাথেই রায় পরিবার সামিল হয়েছে এক নতুন অভিযানে। আয়ান অর্থাৎ তাদের আদৃতের স্মৃতি ফিরিয়ে আনার প্রয়াসে যুক্ত হয়েছে গোটা পরিবার। স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখা যাবে, একটা ঘরের মধ্যে কেশবকে দেখতে পেয়ে ঢুকে যায় আদৃত। আর, এই দেখে সেই ঘরে শুভ গিয়ে কেশব তার বাবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয় কিন্তু তাতেও আদৃতের কিছুই মনে পরে না।
এমন সময় বাড়ির বাকি সদস্যরাও চলে আসে ঐ ঘরে। আর, দুজনকেই চোখ বেঁধে নিয়ে যায় অন্য ঘরে। শুভরা ঘরে গিয়ে ফুল-বেলুন দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। কিন্ত, ঘর থেকে সবাই চলে যাওয়ার পর আদৃত শুভকে বলে তারা যেন এখনো এক ঘরে না থাকে কারণ, আয়ান অর্থাৎ আদৃতের এখনো কিছু মনে পড়েনি। তাই, শুভ আদৃতের এই কথাকে মান্যতা দেয় আর তাই সে আলাদা ঘরে চলে যায়। এই দেখে কিছুটা নিরাশ হয় সেবন্তী।
অন্যদিকে মোহনা কান্নায় ভেঙে পড়েছে, সে কিছুতেই নিজেকে সামলাতে পারছে না। মোহনার খালি আয়ানকে মনে পড়ছে। আয়ান মোহনার কাছে থাকার সময় নিজেকে বারবার সতর্ক করে রেখেছিল যাতে সে কোনোমতেই তার প্রতি দুর্বল হয়ে না পরে। কিন্তু, মন কি সবসময় মস্তিষ্কের কথা শোনে? তাই, মোহনা নিজের অজান্তেই কখন যে আয়ানকে ভালোবেসে ফেলেছে তা জানে না। আর, এই কথা গুলোই অকপটভাবে বলছে সুনন্দাকে।
মোহনার কথা শুনে সুনন্দা তাকে বলে, কলকাতায় ফিরে যেতে কারণ সে নিউইয়র্কে যত থাকবে তার আরও বেশি মন খারাপ হবে। কলকাতায় গেলে মোহনায় নিজের কাজে মনোযোগ দিতে পারবে, এমনটাই বলে সুনন্দা। কিন্তু সুনন্দার কথা শুনতে নারাজ মোহনা। মোহনার কথায়, তার এই মুহূর্তে মনে সেই জোর নেই যে কলকাতায় গিয়ে সে কাজে লিপ্ত হবে।
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে এসব কে নিয়ে ঘরে যাওয়ার সময় গেস্ট রুমে দেখতে পায় আদি ঘুমাচ্ছে। কিন্তু, ঘুমের ঘোরেই তার ঠান্ডা লাগছে আর তাই জন্য, শুভ তার কাছে গিয়ে গায়ের চাপা ঠিক করে দেয়। এমন সময় ঘুমের মধ্যেই আদি মোহনার নাম করে। এই শুনে কিছুটা মন খারাপ হয় শুভর। এরপর, আদি জেগে যাওয়ায় দেখে ঘরে এসেছে কেশব-শুভ। এরপর, শুভ কেশবকে নিয়ে ঘরে যাওয়ার সময় ‘সোনা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো’ গানটি গাইতেই কিছু একটা স্মৃতিতে ভেসে আসে আগে কিন্তু সে কিছুতেই মনে করতে পারে না।
পরদিন সকালবেলায় দেখা যায় বাড়িতে তোর জোর শুরু হয়েছে সত্যনারায়ণ পুজোর। সবাই ব্যস্ত পুজোর কাজে আর এমন সময়ই বাড়িতে আসে জিনিয়া আর মনে মনে ভাবে আদির কি সব পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেছে? একটু ভালো করে খোঁজ নিতে হবে। এরপর, লাল সাদা শাড়িতে শুভ যখন উপর থেকে লালচে তখন আদৃত তাকে অবাক হয়ে দেখতে থাকে। আর এমন সময় বাড়িতে এসে হাজির হয় মোহনা’রা। যথারীতি পুজো শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ “অরিন্দমকে আমি মানুষের মধ্যেই ধরিনা, ওর আগে নিজের করা কেচ্ছার কথা ভাবা উচিৎ!” — আরজি কর নিয়ে ‘পেইড অ্যাক্টিভিজম’ মন্তব্যের জেরে অরিন্দমকে আয়না দেখালেন স্বস্তিকা!
কিন্তু তার মাঝেই খানিক ঝামেলা শুরু হয় কারণ সকালের ওষুধ আয়ান খেতে ভুলে গেছি। এই জন্যেই রাগারাগি করে মোহনা। আর এমন সময়তেই আকাশ শুভকে দেখে বলে, তাদের মধ্যে যা হয়েছে সব কিছু ভুলে যেতে এমনকি আকাশ আরো বলে, শুভ যে তার মনের মানুষকে খুঁজে পেয়েছে তার জন্য সে অত্যন্ত খুশি। আর এরপরে সেবন্তি শুভকে ডেকে সবার সামনে এক অপ্রত্যাশিত কথা বলল। সেবন্তি চায় সবার সামনে ভগবানকে সাক্ষী রেখে আদি যেন আবার শুভর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। এই শুনে বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায়।