মিনির বৌভাতে চলে গেছে আরণ্যক। বৌভাতের অনুষ্ঠানে মিমি সবার সামনে আরণ্যককে অনুরোধ করতে থাকে যাতে সে একটা গান গায়। এরপর মিনিট কথা শুনে আরণ্যক সবার সামনে একটা গান শুরু করে। গানটা শুনে সবারই খুব ভালো লাগে। এদিকে মিমির বৌভাত শেষ হয়ে যায় আবার অন্যদিকে দেখা যায় রোশনাই পৌঁছে গেছে মুম্বাইতে।
মুম্বাইতে গিয়ে রোশনাই যখন নিজের জায়গায় যায়, তখনই তার শরীরটা খারাপ লাগতে শুরু করে দেয়। রোশনাই এই শরীরটা এতটাই খারাপ যে তার পেটে ব্যথা করতে শুরু করে দিয়েছে। আর এই সময়ই রসায় ভাবতে থাকে তার হঠাৎ করে এমন কেন শরীর খারাপ হচ্ছে? এমনটা হওয়ার কথা নয়। এর মধ্যেই চলে এসেছে আদিত্য।
আদিত্য রোশনাইকে বলে আমি তোমার থেকে জন্য অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম। এই সময় রোশনাই বলে, ‘আসলে স্যার কি হয়েছে বলুন তো আমার শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছে না। আমার অবস্থা অনেকটাই খারাপ’। এই সময় আদিত্য রোশনাইকে বলে, ‘তুমি কিছুই আমায় খুলে বললে না কী হয়েছে তোমার সাথে কলকাতায়? তবুও আমি তোমার থেকে জানতে চাইছি। বলো না, কী হয়েছে?’
এরপর রোশনাই বলে, ‘হ্যাঁ সবই ঠিক আছে। কেন কিছু ঠিক থাকবে না’। এর মধ্যে গরিমা আবার আরণ্যকের সঙ্গে ঝামেলা করতে শুরু করে দিয়েছে। আরণ্যক এবং গরিমার ঝামেলা এতটাই বেড়ে গেছে যে গরিমা বলছে, ‘দেখো আরণ্যক আমি আর তোমার সঙ্গে থাকতে চাই না। আমরা দুজন একসাথে আছি ঠিকই, তবে আমাদের মধ্যে কি সেই সম্পর্কটা আছে? আমার তো কোনোভাবেই মনে হয় না’। এই শুনে আরণ্যক বলে, ‘কি করবো বলো? তোমার মন মত তো চলতে পারবো না আমি। সবকিছু ঠিক আছে আবার সবকিছুই ঠিক নেই’।
অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে রোশনাইয়ের শরীর ঠিক নেই বলে আদিত্য। তাই জন্য আদিত্য নিজেই রোশনাইকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চায়। এই সময় আদিত্য নিজে কতটা বদলে গেছে সেটাই বলে রোশনাইকে। এমনকি, রোশনাইয়ের সন্তানের পিতৃত্ব আদিত্যই স্বীকার করতে চায়। এই শুনে অবাক হয়ে যায় রোশনাই। রোশনাই বলে, না এটা হয় না। এই শুনে আদিত্য বলে, ‘তুমি যেমন আমি তেমনভাবেই তোমাকে গ্রহণ করতে চাই’।
আরও পড়ুনঃ শুভর নাম শুনতেই সব মনে পড়ে গেল আদৃতের! এবার আদৃত ফিরছে শুভর কাছে? ‘গৃহপ্রবেশ’ এর ধুন্ধুমার পর্ব!
আদিত্য বললেন, ‘আরণ্যক যদি এই বাচ্চাটাকে নিজের পরিচয় না দিতে চায় তাহলে আমি আছি’ এই বলেই ভরসা দিলেন রোশনাইকে। তবে কোনমতেই আদিত্যরে প্রস্তাবের রাজি হতে নারাজ রোশনাই। ইতিমধ্যেই, বেশ জোরেই পেট ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে রোশনাইয়ের। অন্যদিকে আবার আরণ্যক রোশনাইকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। এই সময় গরিমা আরণ্যককে মিনির কথা জিজ্ঞাসা করছিল। আরণ্যক গরিমার কথোপকথনে গরিমা বলে, ‘আমি যাইনি। তবে রোশনাই থাকলে ও যেত’।
এদিকে, রোশনাইকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সময়তেই আদিত্য বলে, ‘তোমার অবস্থা আমার ঠিক লাগছে না। কোথাও একটা মনে হচ্ছে গন্ডগোল হচ্ছে। তুমি ঠিক করে বলো তো সব ঠিক আছে তো?’ এই সময় রোশনাই বলে আমি বুঝতে পারি না বারবার কেন আমার সঙ্গে এমনটা হয়। মন খারাপ করে নানান কথা বলতে গিয়ে রোশনাই ওর বাচ্চাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ওর বাবা ওকে স্বীকার করছে না বলে কী ও আমায় ছেড়ে চলে যাচ্ছে?’ এই শুনে অভয় দেয় আদিত্য। এরপর, ডাক্তার এসে রোশনাইকে জিজ্ঞাসা করে সে কোনো পরীক্ষা করিয়েছে কিনা? এই সময় রোশনাই বলে না সে কোনো পরীক্ষা করায়নি। তবে, তবে এই এক ধরনের লক্ষণ আরও অনেক রোগেই দেখা যায়, বলে ডাক্তার। এই শুনে রোশনাই ভাবে তাহলে তার কী অন্যকিছু হয়েছে?