Guddi: “এত আঠা কোথা থেকে?” যে স্বামীকে ডিভোর্স দিচ্ছিল, যে ছেলেকে আপন মানে না হঠাৎ তাদের নিয়ে শিরিনের চিন্তা! যোগ্য জবাব টুটুলের
লীনা গাঙ্গুলির ধারাবাহিক আর তাতে প্যাঁচানো প্রেম কাহিনী থাকবে না, তা কি কখনও হয়। ত্রিকোণ প্রেম, পরকীয়া, নিজেকে নিজেই বিয়ে, অদ্ভুতুড়ে বিয়ে এসব তো থাকেই। এবার ধারাবাহিকের স্বভাব গল্পের গরু গাছে চড়িয়ে দেওয়ার। তার মাঝেই বিয়ের কতরকম কারসাজি।
ধারাবাহিকে সবই দেখা যায়। উড়ন্ত সিঁদুর, হঠাৎ করে বিয়ে সবই দেখা যায়। কিন্তু এই ধারাবাহিক খ্যাত বিয়ের মণ্ডপে নিজেকে নিজেই সিঁদুর পড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, ঠিকই ধরে ফেলেছেন কথা হচ্ছে গুড্ডি ধারাবাহিককে নিয়ে। এই বিয়ের সিন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া এককালে কম তোলপাড় হয়নি।
সেই ত্রিকোণ প্রেম। চরিত্রগুলো হল, অনুজ, গুড্ডি আর শিরিন। এই অনুজকে নিয়ে গুড্ডি, শিরিনের টানাটানির শেষ নেই। কিন্তু সেইখান থেকে একের পর এক পরিস্থিতিতে নিজেকে নিজেই সিঁদুর পড়িয়েছিলেন গুড্ডি। আর সেই সিন দেখে দর্শকদের কম ট্রলের শিকার হতে হয়নি।
কিন্তু এমন পরিস্থিতি হঠাৎ তৈরিই বা হয়েছিল কেন। চাপে পড়ে গুড্ডি ও যুধাজিতের মধ্যে বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের পিঁড়িতও তৈরি। কিন্তু খবর আসে বিয়ের দিনই গাড়িতে অ্যাকসিডেন্ট করে অনুজ। নিজের প্রিয় “স্যারজি”র এরকম খবর পেয়ে কি আর বিয়ে করতে পারত গুড্ডি?
স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ে থেকে চলে যায় হাসপাতালে। তার ফলে যুধাজিতের মাও এই বিয়ে বাতিল করে দেয়। কিন্তু পরে শিরিন জানায়, সে সন্তানসম্ভবা। আর তাঁর পেটে অনুজের বাচ্চা আছে। সেইসব পরিস্থিতি থেকে সামলে যুধাজিতের সঙ্গে বিয়ে করেও না করাতে নিজেকে নিজে সিঁদুর পড়িয়েছিলেন।
কিন্তু আজ সেই অনুজ আর তাঁদের ছেলেকে নিয়ে হঠাৎই বেশ পজেসিভ হয়ে যায় শিরিন। গুড্ডিকে বলতে চায় যে তাঁর সংসার ভাঙার জন্যই যেন গুড্ডি বসে আছে। কিন্তু এতদিনে যেন বেশ ফর্মে ফিরেছে টুটুল। সেও মুখের ওপর জানিয়ে দেয়, এই ছেলে আর স্বামীকেই তো অস্বীকার করছিল শিরিন। এমনকী ডিভোর্স ফাইলও করেছিল। তাহলে হঠাৎ এত পিঁড়িতের “আঠা” এল কোথা থেকে! আর এই যোগ্য জবাবে দর্শকদের আনন্দের উচ্ছাস ধরে কে! দর্শকরা কিন্তু টুটুলকে অনেকদিন পর নিজের রূপে দেখে বেশ জমিয়ে মজা করছেন গুড্ডি।