বাংলা ধারাবাহিকগুলিতে (Bengali Serial) এই মুহূর্তে চলছে প্রেম দিবস উদ্যাপন। স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-ও (Anurager Chowwa) পিছিয়ে নেই। এদিন সরস্বতী পুজো আর ভ্যালেনটাইনস ডে (Valentines Day) একদিনে পড়েছিল। অর্থাৎ, ডবল সেলিব্রেশন। দীপার বাড়ি সেজে উঠেছে পুজোর জন্য। সকলে বাসন্তী রঙা শাড়িতে সুসজ্জিত।
বাগদেবীর আরাধনার সঙ্গে সঙ্গে এদিন দীপার জীবনে শুরু হয়েছে আর একটি নতুন অধ্যায়। পাড়ার কয়েকজন বউদের নিয়ে পারফিউম তৈরির ব্যবসা। আজকাল অর্গ্যানিক সুগন্ধির চাহিদা দেশে-বিদেশে। অর্জুনই দীপাকে এই বুদ্ধিটা দেয়। পারফিউম তৈরির যাবতীয় যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি তাও লেখা রয়েছে ওই ফাইলে।
আসন্ন পর্বে দেখা যাবে, ভালোবাসার দিনে অর্জুন মনের কথা বলবে দীপাকে। ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইনস ডে’-এর সঙ্গে অর্জুনের সংযোজন দীপাকে পাওয়ার আশায় দীপাকে ভালোবাসে না সে। জীবনে অনেক কিছুই সে পায়নি। তাই দীপাকে না পাওয়ার কোনো আক্ষেপ নেই। তবে আজকের দিনে দীপার চোখে জল। সূর্যের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো মনে পড়ছে তার।
এদিকে, সেনগুপ্ত বাড়ি ফিরে পেলেও বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান করতে গিয়ে জেরবার প্রতীক আর তার স্ত্রী। সরস্বতী পুজোর আয়োজন অবধি করা হয়নি সেনগুপ্ত বাড়িতে। এমতাবস্থায় ভিক্টর একজন প্রোমোটারকে নিয়ে আসে। ৩০ কোটি টাকার বাড়ি ২৮ কোটিতে কিনবেন তারা। একাধিক শরিকের প্রপার্টিতে কি করে ঝঞ্ঝাটহীন নির্মাণ করা যায়, সেই আইন জানে তারা।
ভিক্টরের উদ্দেশ্য যে সুবিধার নয় জানে তিস্তা। ভিক্টরের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থেকে ইতিমধ্যেই তা। বোধগম্য হয়েছে তিস্তার। জয়কে বারংবার না ভেবেই বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে বলে ভিক্টর। জয়ও ভাবে ভিক্টরই ঠিক বলছে। একটা তিন বিএইচকে ফ্ল্যাটে তারা আরাম করে দিন কাটিয়ে দেবে। আর বাকি টাকায় সারাজীবন বসে খাওয়ার পরিকল্পনা জয়ের।
তিস্তা উপায় না দেখে ছুটে যায় দীপার কাছে। এই একমাত্র রাস্তা। দীপাই পারে এই চরম সংকটের সময় তাদের উদ্ধার করতে। কিন্তু সেখানেও এসে উপস্থিত হয় ভিক্টর। তিস্তাকে মুখ খুলতে বাঁধা দেয় সে। তিস্তা কি পারবে তার বৌদিদিকে সবটা খুলে বলতে? নাকি ছলে বলে ফের সেনগুপ্ত বাড়ি নিজের কবজায় করবে ভিক্টর?