ইরাকে নিয়ে ক্রমে বাড়ছে রহস্য! সমাজ মাধ্যমে নেই অস্তিত্ব, কোথাও পরিচয় নথিভুক্ত নেই, কে এই রহস্যময়ী ইরা? 

স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) ধারাবাহিকে নায়কের জীবনে আগমন হয়েছে নতুন নায়িকার। ধারাবাহিকের গল্পে দর্শক দেখেছে, দিনের পরদিন মিশকার ষড়যন্ত্রে দীপাকে ভুল বুঝে এসেছে সূর্য। এই মুহূর্তে বিয়ে ভেঙেছে তাদের। দুই সন্তান সোনা-রূপার সঙ্গেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব। এসব কিছুর পর নিজের চোখে নেমে গিয়েছে সূর্য।

বিবেক দংশনে জেরবার সূর্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর না। এবার থেকে সে তার মতো আলাদা থাকবে পরিবারের থেকে। সন্তান,পরিবার কারোর জন্য পিছুটান রাখবে না। তাই কাউকে কিছু না জানিয়ে সূর্য পাড়ি দিয়েছে পশ্চিমের কোনো এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানেই গরীব,দুঃখীদের চিকিৎসা করে দিন কাটছে তার।

এই গ্রামে ট্রেনি সাংবাদিক হিসেবে এসেছে ইরা। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি মেয়ে ইরা। কথা বলতে ভালোবাসে। ডাক্তারির পাশাপাশি ভ্লগিং করে সে। প্রথমদিন থেকেই তার সূর্যকে পছন্দ। প্রেম দিবসের দিন গোলাপ নিয়ে কফি খাওয়ার প্রস্তাব রাখে সূর্যের কাছে।

শুরুতে রাগ দেখালেও, পরে সূর্য নিজে থেকে ইরাকে বলে কফি খেতে যাওয়ার জন্য। নিজের অতীত জীবনের ওঠাপড়ার কথাও শেয়ার করে ইরার সঙ্গে। ইরাও জানায়, সকলের জীবনে কমবেশি সুখ, দুঃখের গল্প থাকে। তবে সেই ভাড় নিয়ে জীবনে বাঁচা যায় না। বা বলা যায় বাঁচতে নেই। ইরার অতীতের কথা শুনে সূর্যের এরপরই ইরার কার্যকলাপে সন্দেহ জাগে তার মনে।

ইরার দুটি ফোন। একটিতে বাবার ফোন আসছে দেখে সূর্য ইরাকে ফোনটা দিতে যায়। তখন সে দেখে ইরা অন্য একটি ফোনে কার সঙ্গে কথা বলছে। সূর্য কিছু বলার আগে তাকে জানায়, সে বাবার সঙ্গে কথা বলছে। এই কথা শুনে খানিক খটকা লাগে সূর্যের মনে। ইরার আসল পরিচয় জানার জন্য তাকে সমাজমাধ্যমে খুঁজতে শুরু করে। অদ্ভুত ভাবে ইরার কোনও তথ্যই নেই সমাজ মাধ্যমে। তাহলে কি ইরাকে কেউ কোনও উদ্দেশ্যে তার কাছে পাঠিয়েছে? ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে সূর্য। তখনই ঘরের দরজা কুলে তার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে ইরা।