রূপা গাঙ্গুলীর হঠাৎ ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়া নাকি মৌঝর কেমিস্ট্রি দেখাতে দেরি, মেয়েবেলা এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হওয়ার পিছনে আসলে দায়ী কোনটি?
স্টার জলসা এবং জি বাংলায় আসতে চলেছে এক ঝাঁক নতুন সিরিয়াল। এরমধ্যে বন্ধও হয়ে যাচ্ছে অনেকগুলি। তবে এসবের মধ্যেই এমন একটি ধারাবাহিক রয়েছে যে ধারাবাহিকটি বন্ধ হওয়ার খবরে বেজায় মুষড়ে পড়েছে বাঙালি দর্শককুল। মাত্র চার মাসের মধ্যেই বন্ধ হতে চলেছে এই ধারাবাহিকটি।
বাস্তব সম্মত গল্প সেইসঙ্গে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুখোড় অভিনয়ে মন মজেছিল দর্শকদের। মৌ-ডোডোর কেমিস্ট্রি, সেইসঙ্গে বাকিদের মন ছুঁয়ে যাওয়া বাস্তবধর্মী অভিনয় এক কথায় নজর কেড়ে নিয়েছিল ক্রমাগত পরকীয়া দেখে যাওয়া বাঙালি টেলিভিশন প্রেমীদের।
কিন্তু না ক্ষণস্থায়ী হল এই ধারাবাহিক। এত অজস্র গল্পের গরু গাছে উঠে যাওয়া ধারাবাহিকের গল্পের ভিড়ে একটা বাস্তবধর্মী গল্পকে টিকিয়ে রাখা গেল না? আক্ষেপ অনুরাগীদের। সময়ের ধারাবাহিকতা মেনে দুম করেই যেন বন্ধ হয়ে গেল এই ধারাবাহিকটি! তা ধারাবাহিকের পিছনে ব্যর্থতা কার? তল্লাশি করলে উঠে আসছে দুটি কারণ!
মেয়েবেলা ধারাবাহিকে পোস্টার গার্ল ছিলেন অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। সুদীর্ঘ ৫ বছর পর এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই অভিনয় ফেরেন তিনি। দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন অনায়াসে। যদিও এই ধারাবাহিকে তাঁকে বৌমা বিদ্বেষী হিসেবে দেখানো হয়। যদিও একটি ব্যক্তিগত কারণে জন্যই নিজের ছেলের বউকে সহ্য করতে পারতেন না তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন এই ধারাবাহিক চলার পর মে মাস নাগাদ নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মেয়েবেলা ছেড়ে দেন রূপা গাঙ্গুলী। বিস্তর হৈচৈ শুরু হয়।
মনে করা হচ্ছে রূপা গাঙ্গুলী এই ধারাবাহিক ছেড়ে দেওয়ায় মান অনেকটাই পড়ে যায় এই ধারাবাহিকের। আগ্রহ হারান দর্শকরা। বিথীকা মিত্রের চরিত্রে ফিরে এসে শেষ চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী অনুশ্রী দাস। কিন্তু শেষরক্ষা হলনা। যদিও অনেকে অন্য একটা কারণের কথাও বলছেন। তাঁদের মতে মৌ-ডোডোর মধ্যেকার প্রেমের সম্পর্কটা অত্যন্ত ধীরগতিতে দেখানো হওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন দর্শকরা। আর যার মাশুল স্বরূপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মেয়েবেলা।