‘পথ দুর্ঘটনায় মেয়ের মৃ’ত্যু হয়েছে!’ খবর পেতেই শোকে পাথর বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজা

‘মাধবী মধুপে হলো মিতালি..’- ‘দেয়া নেয়া’র এই গান আজও বাঙালিদের মনের মণিকোঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। তনুজা মুখোপাধ্যায়, যিনি কিনা টলিউড থেকে বলিউড এক সময়ে সর্বত্রই স্বর্ণযুগের অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল মুখ ছিল। এই অভিনেত্রীর পরের প্রজন্ম যথেষ্টভাবে মনে দাগ ফেলেছে সিনেমা প্রেমীদের, তিনি হলেন অভিনেত্রী কাজল দেবগন (Kajol)। অভিনেত্রী তনুজার দুই কন্যা সন্তান, একজন কাজল হলেও অপরজনের নাম তানিশা (Tanisha)

কাজলের বোন প্রাথমিকভাবে সিনেমা জগতে পা রাখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা সফল হয়নি। ক্যারিয়ার শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি সিনেমাও করেছিলেন। তানিশার প্রথম সিনেমার নাম ‘SSSHHHH’। সিনেমাগুলি সেই অর্থে সফল হয়নি বলে পরবর্তীকালে তানিশাকে আর দেখা যায়নি বড় পর্দায়। তনুজার ছোটো মেয়েকে ‘ঝ্যালাক দিখলা যা’ নামক এক নাচের রিয়েলিটি শোয়ে দেখা গিয়েছিল। সেই শোয়ে তানিশা দর্শকদের বেশ নজরও কেড়ে ছিলেন।

Bollywood

প্রথম ছবির কথা বলতেই অভিনেত্রী তানিশা বলে ওঠেন তার জীবনের অন্যতম ভয়ংকর স্মৃতির কথা। প্রথম ছবির শুটিংয়ে পেয়েছিল এক বছরের বাধা। ‘SSSHHHH’ ছবির শুটিং এর জন্য অভিনেত্রীকে যেতে হয়েছিল মানালিতে। আউটডোরে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয় তাঁর গাড়ি, সঙ্গে ছিল গোটা টিম। এক মুহূর্তে বদলে যায় সমস্ত কিছু। এই দুর্ঘটনায় তানিশা জোড়ে আঘাত পেয়েছিলেন। এমনকি আঘাত এতটাই জোরে লাগে যে, তিনি গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিলেন। যার জন্য তনুজা কন্যা কোমাতে চলে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ শুভলক্ষ্মীকে মেনে নিতে নারাজ আদৃতের মা, দাদুর সিদ্ধান্তে গল্পে নতুন মোড়

পরবর্তীকালে অভিনেত্রী তনুজা মুখোপাধ্যায়ের কাছে খবর পৌঁছে আরও সাংঘাতিকভাবে, শুনতে পান মেয়ে মারা গেছে। অভিনেত্রীর কাছে ফোন আসে, ‘পথ দুর্ঘটনায় মেয়ে আর নেই’। মুহূর্তের মধ্যে পরিবারের নেমে আসে শোকের ছায়া। কেঁদে ওঠে মায়ের মন। কিন্তু না পরে শোনা যায় মারা যায়নি অভিনেত্রীর কন্যা। তানিশা প্রাণে বেঁচে গেলেও ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন তিনি আর ছবি করতে পারবেন না। অভিনেত্রী সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হতে সময় লেগেছিল ১বছর। তানিশার সেই দুঃসময়ে পরিবারের সকলে তাঁর পাশে ছিল।

You cannot copy content of this page