বলিউডের এই মুহূর্তের অন্যতম চর্চিত দম্পতিদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছেন আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুর। দুজনের প্রেমের গুঞ্জন শোনার পর কেউই সেরকম ভাবে বিশ্বাস করেনি এবং পাত্তাও দেয়নি। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই তাঁরা জনসমক্ষে একসঙ্গে আসতে শুরু করেন এবং শোনা যায় বিয়ে করতে চলেছেন।
দুজন খুবই কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে বৈবাহিক বন্দনা আবদ্ধ হয়েছেন। বিয়ের পর্ব মেটার পর আলিয়া নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের জন্য বিয়ের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে তাঁদের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনার কথা জানিয়েছিলেন।
তবে এতেই শেষ নয়, চমকের আরো একটি বাকি ছিল। কিছুদিন আগেই আলিয়া একটি ছবি দিয়ে ঘোষণা করেছেন তিনি রণবীরের সন্তানের মা হতে চলেছেন।
পরপর এমন দুই খবরে রীতিমতো সরল পড়ে গিয়েছিল নেট দুনিয়ায় এবং দুজনের অনুরাগীদের মধ্যে। দুজনের বয়সের যথেষ্ট ফারাক তবে ভালোবাসা জাতি-ধর্ম-বর্ণ-বয়স কিছুই মানে না সেটা দুজনেই প্রমাণ করেছেন।
তবে আজ দুজনের বিয়ে নয় আলোচনা করব আলিয়ার স্বামী অর্থাৎ অভিনেতা রণবীর কাপুরের প্রথম বিয়ে নিয়ে। কি শুনেই আকাশ থেকে পড়লেন তো? এই বিয়ে আবার যেমন তেমন বিয়ে নয়, একেবারে অন্য ধরনের বিয়ে ছিল।
আসলে অভিনেতা রণবীর কাপুরকে এক সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয় তাঁর কাছে এখন অবধি সবথেকে বড় ফ্যান মোমেন্ট কোনটি? উত্তর অভিনেতা যেটা জানিয়েছিলেন সেটা শুনে সকলেই হেসে দিয়েছিলেন রীতিমত।
অভিনেতার নাকি একটি বিয়ে রয়েছে পূর্বে। কিন্তু কে তাঁর স্ত্রী সেটা তিনি এখন অবধি জানেন না। অভিনেতার কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে এক মহিলা যার সঙ্গে অভিনেতা নিজেও কোনদিন দেখা করেননি সে নাকি অভিনেতাদের তখনকার বাড়ির গেটে সিঁদুরের টিকা পরিয়ে অভিনেতাকে মনে মনে বিয়ে করে নিয়েছিল। আর এই তথ্য অভিনেতাকে দিয়েছিলেন তাঁদের বাড়ির দারোয়ান।
মেয়েটি রীতিমত পন্ডিত নিয়ে এসেছিল সেখানে। এমনকি ওই গেটের সামনে ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন ওই দারোয়ান। সেই বাংলোতে অভিনেতা তখন নিজের মা-বাবা নিতু কাপুর এবং ঋষি কাপুরের সঙ্গে থাকতেন। অভিনেতা সেই সময় শহরের বাইরে ছিলেন। তবে অভিনেতা জনসমক্ষে জানিয়েছেন নিজের প্রথম স্ত্রীকে দেখতে তিনি আগ্রহী এবং তার সঙ্গে দেখা করতে চান।