ভারতীয় ক্রিকেটার স্মৃতি মন্ধানা ও সংগীত পরিচালক পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে স্থগিত হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এবং একটি ইনস্টাগ্রাম চ্যাট ফাঁস হওয়ার ঘটনা। যে অ্যাকাউন্ট থেকে সেই চ্যাট প্রকাশ্যে আসে, তার মালিক এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। ট্রোলিংয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তিনি বলছেন, এই ঝামেলা তিনি একেবারেই চাননি।
নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই তরুণী বলেন, চ্যাট ফাঁস করার পেছনে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। তিনি জানান, কথোপকথনটি হয়েছিল চলতি বছরের মে থেকে জুলাইয়ের মধ্যে, আর এক মাসের মধ্যেই তা শেষ। তিনি পলাশের সঙ্গে কখনও দেখা করেননি, এমনকি সম্পর্কেও জড়াননি। বরং শুরু থেকেই দূরত্ব রেখে চলেছেন বলে দাবি তাঁর।
তাহলে কেন চ্যাট ফাঁস করলেন? উত্তরে ওই তরুণীর সোজা বক্তব্য—“আমি ক্রিকেট ভালোবাসি এবং স্মৃতিকে শ্রদ্ধা করি। তাই মনে হয়েছিল সত্যটা সবার জানা উচিত।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি প্রতারণার ঘটনায় জড়িত নন, তিনি কোরিওগ্রাফার নন, এবং তিনি সেই মেয়েও নন যার সঙ্গে পলাশ প্রতারণা করেছেন।
চ্যাট ফাঁস হওয়ার পর এত আক্রমণ ও ট্রোলিংয়ের মুখে পড়বেন, তা তিনি ভাবতেও পারেননি। তাই বাধ্য হয়েই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করতে হয়েছে। তাঁর দাবি, চ্যাটে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি কোনো ভুল করেননি। মাঝপথে তিনি নিজেই কথোপকথন বন্ধ করেছিলেন অথবা ঘোস্ট করেছিলেন। তাই তাঁকে আক্রমণ করা অর্থহীন।
আরও পড়ুনঃ ‘মেয়েরা কিছু পাওয়ার জন্য এগিয়ে যায়, না পেলেই মি টু!’ ‘নারী হিসেবে নিজের সীমা রক্ষা করতে হয়, আত্মমর্যাদা থাকলেই খারাপ পরিস্থিতি সামলানো যায়!’ অকপট মমতা শঙ্কর! নিজ বক্তব্যে, আবারও তুললেন বিতর্কে ঝড়!
ট্রোলিংয়ে ভেঙে পড়ে অবশেষে তিনি সকলকে অনুরোধ করেছেন, তাঁকে আর নিশানা না করতে। তাঁর কথায়, “আমি কোনোদিনই এই পরিস্থিতি চাইনি, মানসিকভাবে এটার চাপ নিতে পারছি না।” তিনি আবারও জানান, তিনি কখনও কোনো নারীকেই অসম্মান করতে পারেন না। কিন্তু এই বিতর্ক থেকে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে, তা তাঁর কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।






