একজন অভিনেত্রীর জীবনের (Actress Life) আসল লড়াই শুধু ক্যামেরার সামনেই নয়, ক্যামেরার আড়ালেও থাকে বহু যন্ত্রণা আর ত্যাগের গল্প। এমন অনেক গল্প থাকে যা প্রকাশ্যে আসে না, কারণ সেই ব্যথা দেখালে লোকে ভুল বুঝবে, সমবেদনার বদলে ছুঁড়ে দেবে সন্দেহ। মাতৃত্ব (Motherhood), গর্ভধারণ, গর্ভপাত—এই শব্দগুলি একদিকে যেমন একজন নারীর জীবনের আবেগের অভিজ্ঞতা, তেমনই আবার কখনও কখনও হয়ে ওঠে সফলতার শীর্ষে থাকা এক অভিনেত্রীর অব্যক্ত কান্নার গল্প।
ঠিক এমনই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী, যিনি নিজের দ্বিতীয় সন্তানের প্রত্যাশায় দিন গুনছিলেন। সন্তান এসেছিলও, কিন্তু মাতৃত্বের পূর্ণতা আসার আগেই পাঁচ মাসের মাথায় হারিয়ে ফেলেন নিজের ভবিষ্যতের স্বপ্নকে! কিন্তু এই গর্ভপাতের খবর তিনি কাউকে জানাননি, এমনকি কাছের মানুষদেরও না। কারণ তাঁর মনে হয়েছিল, কেউ বিশ্বাস করবে না এটা সত্যি। বরং সকলে ভাববে, এটি হয়তো শুধুই তাঁর অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে জড়ানো কোনও ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’।
সেই সময় তিনি কাজ করছিলেন একটি বাস্তব ঘটনার উপর নির্ভর করে তৈরি ছবিতে, যেখানে তাঁকে অভিনয় করতে হয়েছিল সন্তান হারানো এক মায়ের চরিত্রে। বাস্তব ও পর্দার জীবনের মিল এতটাই ভয়ানকভাবে এক হয়ে গিয়েছিল যে, তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজের ব্যক্তিগত যন্ত্রণাকে নিঃশব্দে বুকে চেপে রাখবেন। অভিনয় শেষ করেন, ছবির প্রচারেও অংশ নেন, কিন্তু কোথাও নিজের ভিতরের কষ্ট প্রকাশ হতে দেননি।
পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে এই সত্যিই প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। জানান, কেমন ছিল সেই লড়াই। সেই সময়ে যখন পর্দায় সন্তান হারানোর অভিনয়ের সঙ্গে বাস্তবে নিজেও সন্তান হারাচ্ছেন। কতটা কঠিন ছিল সেই অভিজ্ঞতা, যখন একদিকে শরীর ভেঙে যাচ্ছে, অন্যদিকে চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য তাকেই থাকতে হচ্ছে দৃঢ়। চোখের জল, ক্লান্তি কিংবা অসুস্থতাও তিনি কাউকে বুঝতে দেননি। কারণ একটাই, মানুষ যেন তাঁর সত্যিটাকে অবিশ্বাস না করে।
আরও পড়ুনঃ আবারও ফিরছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্য-সূর্যর জুটি! কোন নতুন রূপে দেখবেন রূপাঞ্জনা-দিব্যজ্যোতিকে?
বর্তমানে এই বলি অভিনেত্রী আবারও কাজের জগতে ফিরেছেন। ছবির পাশাপাশি ওয়েব সিরিজের প্রস্তাবও রয়েছে তাঁর হাতে। যাঁকে নিয়ে এই কথাগুলো, তিনি আর কেউ নন, বঙ্গকন্যা তথা অভিনেত্রী ‘রানি মুখোপাধ্যায়’ (Rani Mukerji), সেই সময়ে তিনি মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ছবির শ্যুটিং করছিলেন। তাঁর জীবন কেবলই এক অভিনেত্রীর নয়, বরং এক যোদ্ধার, যিনি নিজের ক্ষতকে হাসির আড়ালে লুকিয়ে রেখে পেশাদারিত্বের সঙ্গে লড়ে গিয়েছেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।
