সূর্যর ঐকান্তিক চেষ্টা হার মানল, চোখের জলে ভাসছে লাবণ্য! দীপার পরিণতিতে খুশি মিশকা
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তের সব থেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের চোখে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধারাবাহিক। আর সেই কারণেই প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহে টিআরপি তালিকায় রাজত্ব করে এই ধারাবাহিকটি। যদিও গত সপ্তাহে জি বাংলার জগদ্ধাত্রীর কাছে হেরে গেছে ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্য-দীপার সম্পর্কের ঘ্যানঘ্যানানি চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সোনা-রূপার জন্ম বিতর্ককে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে জল্পনা কল্পনা চলছে এই ধারাবাহিকের। কবীরকে ঘিরে দীপাকে সন্দেহ করে সূর্য। আর সেই নিয়েই ভুল বোঝাবুঝির সূত্রপাত। যদিও সমস্ত সত্যিটাই জানে দীপার শাশুড়ি লাবণ্য সেনগুপ্ত। বৌমাকে ভালবাসলেও নিজের ছেলেকে আসল সত্যিটা জানাননি তিনি। সম্প্রতি দীপাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য সোনা-রূপাকে দীপার থেকে আলাদা করে দেয় সূর্য।
নিজের দুই মেয়েকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে সে উধাও হয়ে যায়। আর দুই মেয়েকে ছাড়া দীপার জীবনে এই মুহূর্তে আর কিছু বেঁচে নেই। নিজের দুই মেয়েকে কাছে পাওয়ার জন্য স্কুল খুঁজে খুঁজে দীপা চলে আসে সোনা-রূপার স্কুলে। কিন্তু সেখানে তীব্র অপমানিত হতে হয় দীপাকে। সূর্যর ভয়ে সোনা-রূপা দীপাকে মা বলে অস্বীকার করে। দুই মেয়ের সামনেই স্কুলে দীপাকে রীতিমতো অপমানিত করেন সিস্টার মার্গারেট। তীব্র কষ্টে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করে দীপা। এই সময় পিছন থেকে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে দীপাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে দীপা।
দুর্ঘটনার পর কোমায় চলে যায় দীপা। দুর্ঘটনার কথা জানতে পারে সূর্য। ছুটে আসে সে। চিকিৎসার সমস্ত দায় দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেয় সে। হঠাৎ করেই দীপার হার্টবিট থেমে যায়। এইসময় কাঁদতে কাঁদতে দীপাকে চিৎকার করে মা বলে ডেকে ওঠে সোনা-রূপা। দুই মেয়ের ডাকে হঠাৎ করেই দীপার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। সূর্য বোঝে বিপদ মুক্ত হয়েছে দীপা।
যদিও দীপার অ্যাক্সিডেন্টের কথা শুনে ভীষণ খুশি হয় মিশকা। সে ভাবে পথের কাঁটা সরল। কিন্তু দীপার দুর্ঘটনার কথা শুনে অসুস্থ হয়ে পড়ে লাবণ্য। সে ভেঙে পড়ে। সে আসতে চায় দীপার কাছে।সেনগুপ্ত বাড়ির পরিবেশ এক নিমিষে শোকের পরিবেশে বদলে যায়। কি হতে চলেছে অনুরাগের ছোঁয়ার পরবর্তী পর্বে?