বাংলা বিনোদন দুনিয়ার এক অনন্য প্রতিভা, টোটা রায়চৌধুরী (Tota Ray Chowdhary)। অভিনয়ে শুধু নয়, ফিটনেস, মার্শাল আর্ট, এবং নাচেও তার দক্ষতার কারণে তিনি দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। তবে এত প্রতিভার পরেও, তিনি সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন একটি বড় আক্ষেপ—”কখনও আমাকে প্রথম পছন্দ হিসেবে নেওয়া হয়নি, আমি সবসময় পরিবর্ত হিসেবে কাজ পেয়েছি।” এমনকি তার পেশাগত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে, তাকে দ্বিতীয় চয়েস হিসেবেই দেখা হয়েছে। এই আক্ষেপ কি টোটার ক্যারিয়ারের ওপর ছায়া ফেলেছে, নাকি তিনি তার প্রতিভার মাধ্যমে সব বাধা কাটিয়ে উঠেছেন?
চলচ্চিত্রে এবং টেলিভিশনে তার অবদান অস্বীকার করা যায় না। ‘ফেলুদা ফেরতে ফেলুদা’-তে তার অভিনয় সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শুধুমাত্র বাংলা অভিনয় জগতেই নয় এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন করণ জোহরের “রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনী”-তে চন্দন চ্যাটার্জির চরিত্রে তার উপস্থিতি বড় পর্দায় এক নতুন পরিচিতি এনে দিয়েছে। আর স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’-তে রোহিত সেন চরিত্রে তার শক্তিশালী অভিনয়ও দর্শকদের মধ্যে ভীষণ প্রশংসিত হয়েছে।
কিন্তু এত সাফল্যের পরেও টোটার আক্ষেপ রয়ে গেছে—”সবসময় একে অপরের পরিবর্ত হিসেবে কাজ করেছি, প্রথম পছন্দ কখনও ছিলাম না।” যদিও তার অভিনয় দক্ষতা এবং পরিশ্রমই তাকে বাংলা বিনোদন জগতের একজন শীর্ষ অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তবে তার এই আক্ষেপ দর্শকদের কাছে নতুন এক দৃষ্টিকোণ নিয়ে এসেছে। তিনি আজও মনে করেন যে, তার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি।
টোটার মতে, জীবনের শুরু থেকেই তার সঙ্গে কোনো না কোনো কারণে একজন প্রতিযোগী ছিল। যেভাবে অন্যরা কাজ পেয়ে যেত, টোটার জন্য সেটি ছিল প্রায় অসম্ভব। তবে, এর মাধ্যমে সে তার দক্ষতা, পরিশ্রম এবং একাগ্রতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তার বিশ্বাস, পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসই তাকে এই অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। যদিও তাতে কিছুটা হতাশা, কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেছে, তবুও তিনি মনে করেন—”জীবনে কখনও কিছু হারানো হয় না, শুধু শেখার সময় আসে।”
এমনকি, টোটার মতামত, “আমি সবসময় কাজ করেছি, কিন্তু কখনোই নিজের চরিত্রটাকে ভালোভাবে বুঝতে সময় পাইনি।” তার এই মন্তব্যে তার যাত্রার চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে তার প্রতিভা একেবারে উপেক্ষিত ছিল না, কিন্তু সবসময় দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে দেখা হতো। তবে, সেসব কঠিন সময় কাটিয়ে, তিনি আজও ক্যারিয়ারে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুনঃ পরিবর্তন! নারীর ক্ষমতায়ন করতে স্টার থিয়েটারের নাম বদলে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’ মুখ্যমন্ত্রীর! সাধুবাদ রুক্মিণীর
আজও তিনি বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম মুখ, আর তার একাধিক উল্লেখযোগ্য কাজ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা এই শিল্পে আরও এক বড় নাম তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আজও বাবার কথা মনে করে ছেলে ওশ! কিন্তু কাঞ্চনের দাবি, শুধুমাত্র কন্যা সন্তানের বাবা সে! “আমি স্যাক্রিফাইস করি, কম্প্রোমাইজ না!” “বোধ না তৈরি হলে মানুষ হওয়া যায় না”— বাবার স্মৃতি ভুলিয়ে, ছেলেকে কীভাবে বড় করছেন জানালেন পিঙ্কি!