“প্রসেনজিৎ আমায় ডাকে না, তাই যাই না, না ডাকলে কেন যাব?” বিস্ফোরক বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কল্যাণী মণ্ডল

বাংলা বিনোদন জগতের এক অন্যতম পরিচিত মুখ কল্যাণী মণ্ডল (Kalyani Mandal)। যাঁর অভিনয়ের দক্ষতা এবং অনবদ্য প্রতিভা অনেকের মন জয় করেছে। ছোটপর্দায় তাঁর উপস্থিতি আজও দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখে। তবে, অনেকেই হয়তো জানেন না যে, কেরিয়ারের শুরুর দিকে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেছেন মহানায়ক উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেনের সঙ্গে। উত্তম কুমারের স্নেহধন্যা হয়ে, তিনি পেয়েছিলেন এক অনন্য সম্পর্কের মর্যাদা, যেখানে মহানায়ককে তিনি ‘জ্যেঠা’ বলে ডাকতেন।

তবে, কল্যাণী মণ্ডলের জীবনে সবকিছুই কি মসৃণ ছিল? না, তা একেবারেই নয়। তাঁর প্রতিভার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি বলেই তিনি মনে করেন। বাংলা সিনেমা জগতে তাঁর প্রতিভার যথাযথ স্বীকৃতি মেলেনি। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে জায়গা করে নিতে পারেননি, অথবা বলা ভালো, তাঁকে করতে দেওয়া হয়নি। এই কারণে তাঁর কষ্ট এবং অভিমান স্পষ্ট হয়ে ওঠে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে।

সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে কল্যাণী মণ্ডল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, বর্তমান বাংলা সিনেমা দুনিয়া যেন এক পরিবারের ঘর হয়ে উঠেছে। কোনো একজন যখন সিনেমা করেন, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যদেরই নেওয়া হয় পরবর্তী প্রজেক্টে। আর সেই কারণেই তিনি আজকের বাংলা সিনেমা দুনিয়ায় প্রায় অদৃশ্য। কল্যাণীর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে সিনেমা জগতের এক বড় সত্য উন্মোচন করে।

কল্যাণী মণ্ডল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নামেও বেশ কিছু অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, অতীতে বহুবার প্রসেনজিতের মা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে, তাঁকে কোনো প্রজেক্টে আর ডাকা হয় না। তাঁর মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা একসময় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু এখন তাঁদের আর গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই অভিমানে ভরা বক্তব্য যেন ইন্ডাস্ট্রির এক অন্ধকার দিক উন্মোচন করে।

আরও পড়ুনঃ পুরনো সম্পর্কের নতুন অধ্যায়! গাঁটছড়া’র রাহুল-কুণাল আবার একসঙ্গে

কল্যাণী মণ্ডলের এই মন্তব্য বাংলা সিনেমা জগতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট যে, ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম এবং পরিবারের প্রভাব কতটা গভীর। তাঁর এই স্পষ্ট কথা শুধু তাঁর ভক্তদেরই নয়, গোটা বিনোদন জগতের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে।