টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিনি। একাধিক ধারাবাহিকে তার অভিনয় নজর কেড়েছে বাঙালির। তবে তিনি শুধুমাত্র অভিনেত্রী নন, একাধারে অসামান্য গায়িকা আবার নৃত্যশিল্পীও। কখনও তিনি দর্শকদের কাছে আদরের ত্রিনয়নী, কখনও বা নোয়া, আবার কখনও তিনি সবার প্রিয় রাঙা বউ।
উল্লেখ্য, জি বাংলা’র জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’ দিয়েই অভিনয় জগতে পা রাখেন শ্রুতি। বলাই বাহুল্য সেখান থেকেই তৈরি হয় তার তুমুল লোকপ্রিয়তা। এরপর দেশের মাটি ধারাবাহিকে দিব্যজ্যোতি দত্তর বিপরীতে নোয়া চরিত্রে দেখা যায় তাকে। এরপর অবশ্য দীর্ঘ বিরতি। শোনা যায় কাজ পাচ্ছিলেন না শ্রুতি। ফিরে গিয়েছিলেন নিজের শহর কাটোয়াতে। পণ করেছিলেন কাজ না পেলে কলকাতায় ফিরবেন না। অবশেষে ফের রাঙা বউ ধারাবাহিকে দুর্দান্ত কাম ব্যাক করেন তিনি।
পর্দার প্রতিবাদী নায়িকা কিন্তু বাস্তব জীবনেও দারুণ প্রতিবাদী। ব্যক্তি জীবন হোক বা সামাজিক বিষয় সব ক্ষেত্রেই নিজের স্পষ্ট বক্তব্যকে তুলে ধরেন শ্রুতি। সাম্প্রতিক সময়ে আরজিকর কাণ্ডে তিলোত্তমার হয়ে তার তীব্র প্রতিবাদ দেখেছে বাংলা। তার মতো করে প্রতিবাদের স্বর আর অন্য কোনও টেলি অভিনেত্রীর গলা দিয়ে বেরোয়নি।
একই রকম ভাবে নিজের জন্যও সমান প্রতিবাদী শ্রুতি। কটাক্ষকে হজম করেন না। যথোপযুক্ত জবাব দেন প্রত্যেককে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। যেকোনও বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন তিনি। বারবার বিভিন্ন সময় নিজের গায়ের রঙের জন্য কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। বলাই বাহুল্য, এই বাংলায় বারবার বর্ণবিদ্বেষের শিকার তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রথম পর্বেই নজর কাড়ল রাঙামতি! তিরন্দাজির কামালে জঙ্গলি হাতিকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বনদপ্তরকে সাহায্য করল সে
কখনও তার দাঁতের গড়ন, কখনও তার শ্যামবর্ণ রং মানুষ কোনও কিছু কেই কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। শ্রুতি একবার বলেছিলেন, ‘বর্ণবৈষম্যকে যদি দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা হয় তাহলে এই বর্ণবৈষম্য করে নেতিবাচক কমেন্ট করা, অপমান করা, বডি শেমিং করা দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যদিও সেটা হয় না। যদি সেটা হত তাহলে এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।’ বরাবরই ছক ভাঙা, একরোখা এই অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।